নবান্নে রাজ্যের তৃণমূল পরিচালিত পুরসভাগুলির কাজের পর্যালোচনা বৈঠকে বাঁকুড়া পুরসভার সুনাম শোনা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে, গত সোমবার। জানান, জল নিয়ে ভাল কাজ করেছে বাঁকুড়া পুরসভা। তার কারণ, গত কয়েক মাস আগে দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে বিশুদ্ধ পানীয় জল জেলার তিনটি পুরসভায় পৌঁছেছে, এতেই জলের সঙ্কট অনেকটা মিটেছে। বিরোধীরা যাই বলুক, মুখ্যমন্ত্রীর মুখে কাজের সুনাম শুনে পুরকর্তারা অনেকটাই স্বস্তিতে।
আরও পড়ুন-বঙ্গ মৎস্য যোজনায় রাজ্যের ১ কোটি ৭৮ লক্ষ অনুদান, স্বনির্ভর হবেন মেদিনীপুরের ১৯১ মৎস্যজীবী
এ বারের লোকসভা নির্বাচনে বাঁকুড়া কেন্দ্রে তৃণমূল জিতলেও মুখ ফিরিয়েছে বাঁকুড়া শহর। পুরসভার ২৪টি ওয়ার্ডে সামগ্রিকভাবে প্রায় ১৪ হাজার ভোটে বিজেপি লিড পেয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকে তাই পুর কর্তৃপক্ষকে কড়া বার্তা দেওয়া হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছিল। বাস্তবে হয়েছে উল্টো। রাজ্যে জল নিয়ে যে পুরসভাগুলি ভাল কাজ করেছে, তার মধ্যে বাঁকুড়া অন্যতম বলে মুখ্যমন্ত্রী উল্লেখ করেছেন। তাতেই স্বস্তিতে পুরকর্তারা। ওই বৈঠকে যোগ দেওয়া বাঁকুড়ার পুরপ্রধান অলকা সেন মজুমদার বলেন, ‘আমি যে কত খুশি, তা ভাষায় বোঝাতে পারব না। দিদি বরাবরই বাঁকুড়ার জলকষ্ট নিয়ে ওয়াকিবহাল। নতুন বোর্ড দায়িত্ব নেওয়ার পর শহরের প্রতিটি ওয়ার্ডে জলসংযোগ দেওয়ার কাজ আরও দ্রুততার সঙ্গে করেছি। এখন আর জলের সমস্যা নেই। আরও ভাল করে কাজ করতে চাই। শহরবাসীর সাহায্য চাই তার জন্য।’
ফি বছর গ্রীষ্মের মুখে বাঁকুড়া শহরে জলকষ্ট দেখা যেত। মূল কারণ ছিল শহর ছুঁয়ে বয়ে চলা দ্বারকেশ্বর ও গন্ধেশ্বরীর জলস্তর কমে যাওয়া। শহরে জলের জন্য এই দুটি নদীই ছিল মূল ভরসা। তবে এখন দুর্গাপুর ব্যারাজের নলবাহিত পরিস্রুত পানীয় জল সরবরাহ প্রকল্পের আওতায় এসেছে বাঁকুড়া শহরের ২৪টি ওয়ার্ডই। এতে নদীর জলস্তর কমে গেলেও সমস্যা হচ্ছে না। উপপুরপ্রধান হিরণ চট্টরাজ বলেন, প্রতিটি ওয়ার্ডেই দুর্গাপুরের জল যাচ্ছে। ৯০ শতাংশের বেশি এলাকায় পাইপলাইন বসানো হয়েছে। ঘরে ঘরে পানীয় জলের কল বসানোর কাজ শেষ। তাই জলকষ্ট আর শহরে নেই।