প্রতিবেদন : রাজ্যকে (West Bengal) উন্মুক্ত শৌচমুক্ত করতে স্বাধীনতা দিবসের আগে ১ কোটি ২২ লক্ষ মহিলার জন্য শৌচাগার তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি জেলা এবং জিটিএর প্রধান সচিবের কাছে শৌচাগার তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত করে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে নবান্নের প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে। প্রত্যেক উপভোক্তাকে শৌচাগার তৈরির জন্য ১২ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। উপভোক্তাদের চিহ্নিত করতে মহিলা পরিচালিত স্বনির্ভর গোষ্ঠীদের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। এজন্য আজ ওইসব স্বনির্ভর গোষ্ঠীর নেত্রীদের সঙ্গে জেলাস্তরে বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। এরপরে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করে প্রাথমিক উপভোক্তাদের তালিকা প্রস্তুত করা হবে। ৮ জুলাইয়ের মধ্যে সেই তালিকা প্রতিটি ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিকদের কাছে জমা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাঁরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে সমীক্ষা করে প্রাপকদের তালিকা চূড়ান্ত করার পর তা পঞ্চায়েত দফতরের কাছে জমা দেবেন। তার ভিত্তিতে ১৩ অগাস্টের মধ্যে শৌচালয় নির্মাণের কাজ শেষ করতে হবে। এই কাজের জন্য ১৫ অগাস্ট স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির হাতে শংসাপত্র তুলে দেবেন সংশ্লিষ্ট জেলাশাসকরা। রাজ্যে (West Bengal) বর্তমানে ১২ লক্ষ ৫ হাজার ৮৪৬টি মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠী রয়েছে। যার মোট সদস্য সংখ্যা ১ কোটি ২২ লক্ষ ৭৬৪ জন। রাজ্যকে উন্মুক্ত শৌচমুক্ত করার লক্ষ্যে আগেও গ্রামে গ্রামে শৌচাগার তৈরির কাজ করেছে তৃণমূল সরকার। তবে এবার ন্যায্য প্রাপক বেছে নেওয়ার জন্য প্রথম মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে কাজে লাগানো হচ্ছে। জানা গিয়েছে, এবার ‘টুইন পিট’ শৌচালয় তৈরি হবে। ফলে জমা জলের কারণে মশাবাহিত রোগের প্রকোপও কমবে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন- দিল্লির বিমানবন্দরে দুর্ঘটনায় দায়ী মোদিই, অভিযোগ সাকেতের, বাড়ছে মৃতের সংখ্যা