সংবাদদাতা, রামপুরহাট : কোনওরকম পুনর্বাসন ছাড়াই রামপুরহাটে অমানবিক রেল দফতরের উচ্ছেদের প্রতিবাদে ছোট দোকানি ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা হাতে থালা নিয়ে রামপুরহাট পাঁচমাথা মোড় পেরিয়ে রেলওয়ে ইনস্টিটিউটের সামনের রাস্তায় বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখালেন শনিবার। আন্দোলনের চাপে উচ্ছেদ করতে এসে পিছু হটতে বাধ্য হল রেল। রেলের পুরুষ ও মহিলা পুলিশও জেসিবি নিয়ে হাজির হয়েছিল এই উচ্ছেদ অভিযানে। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদ করতে এসে শেষ পর্যন্ত জোরালো আন্দোলনের মুখে পিছু হটতে বাধ্য হয় রেল পুলিশ। আন্দোলনকারীদের দাবি, আদানি ভারত বানিয়ে গরিবদের পেটে লাথি মারতে দেবেন না তাঁরা। তাঁদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে।
আরও পড়ুন-হাতে ৭ দিন, নাওয়াখাওয়া ভুলেছেন কাটোয়ার রথ গড়ার কারিগরেরা
শনিবারের এই প্রতিবাদে জোটবদ্ধ হয়ে সাধারণ মানুষ ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা পথে নামেন। অমানবিক রেলওয়ের এই উচ্ছেদের বিরুদ্ধে আগেও গণতান্ত্রিক পথে তাঁরা আন্দোলন করে উচ্ছেদ আটকে দেন। শনিবারেও সেই একই ছবি দেখা গেল। তাঁদের সম্মিলিত প্রতিরোধে এলাকা ছেড়ে হটে যেতে বাধ্য হল কেন্দ্রের মোদি সরকারের রেল দফতর। অন্যদিকে ফুটপাথের ব্যবসায়ী এবং তাঁদের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে রাজ্য সরকার। বোলপুরে দাঁড়িয়ে থেকে রাস্তা দখলমুক্ত করতে নেতৃত্ব দেন পুরপ্রধান পর্ণা ঘোষ। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্র হিসেবে বোলপুরের রাস্তা প্রশস্ত করতে হবে। যাঁরা সরকারি জায়গা দখল করে ছিলেন তাঁরা আগেই জানতেন, একদিন সরতেই হবে। নেতাজি পার্কে তাঁদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা থাকা সত্বেও এঁরা কেউই সেখানে এতদিন যাননি। বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে ফুটপাথমুক্ত অভিযান। প্রথম দিন রামপুরহাটের নিশ্চিন্তপুর এবং শুক্রবার ১৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে অভিযান চালায় পুরসভা এবং প্রশাসন। শনিবার ঠিক ছিল রামপুরহাট ডাকবাংলো মোড় থেকে কামারপট্টি পর্যন্ত অভিযান চলবে। সেইমতো আগেই অধিকাংশ দোকানদার তাঁদের সামগ্রী বের করে অস্থায়ী দোকান সরিয়ে নিয়ে যান। তবে কিছু দোকান এখনও সরেনি। তৃণমূলের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমিতির নেতা টোকন শেখ জমায়েতে হাজির হয়ে বলেন, রাজ্য সরকার হকার-বিরোধী নয়। ফুটপাথের ব্যবসায়ীদের পাশেই আছে সরকার। শনিবার এই ডাকবাংলা মোড়েই রেলের উচ্ছেদের প্রতিবাদে জমায়েত করেন ফুটপাথের ব্যবসায়ী এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যরা। হাতে জাতীয় পতাকা নিয়ে সেখানে ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমে পড়ে সিপিএম ও কংগ্রেস।