মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) থানের এলাকায় একটি হাসপাতালে নাবালকের সঙ্গে ঘটে গেল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। নয় বছরের নাবালক পায়ে আঘাত পেয়েছিল । অস্ত্রোপচারের জন্য অভিভাবকরা হাসপাতালে নিয়ে যায় কিন্তু তারপরেই বিপত্তি। আঘাত লাগা পায়ে অস্ত্রোপচার না করে যৌনাঙ্গে অস্ত্রোপচার (genital surgery) করেন চিকিৎসক, এমনটাই অভিযোগ জানান পরিবার।
আরও পড়ুন-পাহাড়ে ফের ধস, বন্ধ শিলিগুড়ি-গ্যাংটকগামী জাতীয় সড়ক
নাবালকের অভিভাবকদের অভিযোগ অনুযায়ী, গত মাসে বন্ধুদের সঙ্গে খেলতে গিয়ে পায়ে আঘাত পেয়েছিল ছেলেটি। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পায়ে অস্ত্রোপচার করাতে হবে জানিয়েছিলেন চিকিৎসকেরা। ১৫ জুন সাহাপুরের মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। সেখানে চিকিৎসা চলছিল। কিন্তু চিকিৎসকরা ছেলের আঘাতপ্রাপ্ত পায়ে অস্ত্রোপচার না করে তার যৌনাঙ্গে অস্ত্রোপচার করেছেন। অভিযোগ, পরে নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে ঘটনা ধামাচাপা দিতে চিকিৎসকরা ছেলের পায়ে অস্ত্রোপচার করেন। যৌনাঙ্গে অস্ত্রোপচারের পর চিকিৎসক আবার তাকে ভেতরে নিয়ে যায় ও পায়ে অপারেশন করে। জিজ্ঞাসা করা হলে বলা হয়, বাচ্চা ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু এই অবস্থায় ছেলেকে বাড়ি নিয়ে যেতে নারাজ ছিল পরিবার। দাবি করেন লিখিতভাবে ডাক্তাররা যদি না জানান নাবালকের কিছু হবে না, তারা তাকে বাড়ি নিয়ে যাবে না।
আরও পড়ুন-ফুঁসছে গঙ্গা, হরিদ্বারে জলের তোড়ে ভাসল শ্মশানঘাটের পার্কিং লটে দাঁড়ানো গাড়ি
হাসপাতালের এক মেডিক্যাল আধিকারিক এর তরফে জানানো হয় ছেলেটির পায়ে আঘাত ছিল কিন্তু যৌনাঙ্গের ফিমোসিসের (টাইট ফরস্কিন) সমস্যা ছিল। তাই দু’বার অস্ত্রোপচার করতে হয়েছে। বিষয়টিতে নিজেদের ভুল মানতে নারাজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এখানে যৌনাঙ্গে অস্ত্রোপচারের বিষয়টি আগেই কেন অভিভাবকদের জানানো হল না সেই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে কমিটি গঠন করে তদন্ত শুরু হয়েছে। এই অবস্থায় নাবালকের অভিভাবক পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন। স্বাস্থ্য আধিকারিকদের তরফে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।