সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি : এবার থেকে সেচ দফতরের অনুমতি ছাড়া নদী, ঝোরা বা খালবিলের পাড়ে করা যাবে না কোনও নির্মাণকাজ। এমনই নির্দেশিকা জারি হল জলপাইগুড়ি সহ চার জেলায়। এই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, নদীর পাড় হোক বা খালবিল, যেকোনও জলাশয়ের পাশ ঘেঁষে কোনও সরকারি নির্মাণ করতে হলে সেচ দফতরের অনুমতি নিতেই হবে। এছাড়া, বেশি মূল্যের কাজ হলে সেচ দফতরকে দিয়ে কাজের খুঁটিনাটি যাচাই করাতে হবে। জলপাইগুড়ি সহ কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও শিলিগুড়ির সমতলে এই নির্দেশিকা কার্যকর হতে চলেছে। সেচ দফতরের মুখ্য বাস্তুকারের (উত্তর-পূর্ব) দফতর থেকে এই নির্দেশিকা জারি হয়েছে।
আরও পড়ুন-৫০ বছরের দাম্পত্য, একসঙ্গেই স্বেচ্ছামৃত্যু নেদারল্যান্ডের দম্পতির
এই প্রসঙ্গে সেচ দফতরের মুখ্য বাস্তুকার (উত্তর-পূর্ব) কৃষ্ণেন্দু ভৌমিক বলেন, নদী এমনকী ঝোরার পাশে অপরিকল্পিত নির্মাণ হচ্ছে। নির্মাণের আগে আমাদের জানানো পর্যন্ত হচ্ছে না। বর্ষাকালে ভাঙন বা সমস্যা হলে তখন আমাদের ডাকা হচ্ছে। যদিও তখন আর পরিস্থিতি সামলানোর উপায় থাকে না। সে কারণেই নতুন নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। সরকারি নির্মাণ ছাড়া বেসরকারি নির্মাণ নিয়েও উদ্বেগে রয়েছে সেচ দফতর। নদী দখল করে বিভিন্ন জায়গায় গজে উঠেছে বাড়ি থেকে শুরু করে দোকান-অফিসও। রাজ্য জুড়ে ফুটপাথ দখলমুক্ত অভিযান শুরু হয়েছে। এবার জলপাইগুড়ি-সহ উত্তরবঙ্গে নদী দখলমুক্ত অভিযানের ভাবনাচিন্তা করছে সেচ দফতর। এবছর বর্ষার শুরুতেই উত্তরের এই চার জেলাতে সব থেকে বেশি নদীভাঙনের সমস্যা তৈরি হয়েছে। কেন এতটা বেশি নদী ভাঙনের সমস্যা শুরু হল বর্ষার শুরুতেই সেই নিয়ে সেচ দফতর নেমেছিল সমীক্ষায়। সেই সমীক্ষা অনুযায়ী দেখা গেছে, নদীর পাড়ে ভাঙনের মূল কারণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অপরিকল্পিত নির্মাণ। নদীর খুব কাছে কীভাবে, কোন কোন দিক বাঁচিয়ে নির্মাণ করতে হয় সেই সব কারিগরি অন্য দফতরের জানা নেই, তার ফলেই বর্ষার সময়ে নদী ফুলেফেঁপে উঠলে পাড় ভাঙা থেকে শুরু করে নদীর জল নতুন পথে চুঁইয়ে আসার মতো সমস্যা তৈরি হচ্ছে। সরকারি নির্মাণ ছাড়া বেসরকারি নির্মাণ নিয়েও উদ্বেগে রয়েছে সেচ দফতর। নদী দখল করে বিভিন্ন জায়গায় গজে উঠেছে বাড়ি থেকে শুরু করে দোকান-অফিসও। রাজ্য জুড়ে ফুটপাথ দখলমুক্ত অভিযান শুরু হয়েছে। এবার জলপাইগুড়ি-সহ উত্তরবঙ্গে নদী দখলমুক্ত অভিযানের ভাবনাচিন্তা করছে সেচ দফতর। তার আগে সরকারি দফতরগুলিকে নির্দেশিকা পাঠিয়ে নদীর পাড় নিয়ে সতর্ক করল সেচ দফতর।