নিজেদের লাভের জন্য বিভিন্নভাবে ভারতের বাজার প্রভাবিত করছে আদানি গোষ্ঠী। আদানিদের এই রিপোর্ট পেশ করেছিল মার্কিন রিসার্চ সংগঠন হিন্ডেনবার্গ (Hindenburg- SEBI)। এবার এর জেরে হিন্ডেনবার্গ-কে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠালো বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সেবি। তবে এই নোটিশ পাওয়ার পর এতটুকুও চিন্তায় পড়েনি হিন্ডেনবার্গ। বরং পাল্টা জবাব দিয়ে এই সংগঠন জানিয়েছে, আদানিকে নিয়ে যে রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে তার জন্য তারা গর্বিত। হিন্ডেনবার্গকে নোটিশ প্রসঙ্গে সেবি-কে একহাত নিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্র।
মঙ্গলবার শোকজ নোটিশ নিয়ে হিন্ডেনবার্গ (Hindenburg- SEBI) জানিয়েছে, “আদানি গোষ্ঠী নিয়ে গবেষণা করে আমরা যে রিপোর্ট প্রকাশ করেছি, তা নিয়ে আমরা গর্বিত। আমাদের কাছে এই রিপোর্টই সবচেয়ে গর্বের।” একইসঙ্গে সেবির নোটিসকে ‘ননসেন্স’ বলেও আখ্যা দিয়েছে মার্কিন রিসার্চ সংগঠন। তাদের দাবি, রিসার্চ রিপোর্ট নিয়ে সরাসরি বিরোধীতা করতে পারেই আদানি তাই সেবির নোটিশ দিয়ে মুখ বন্ধ রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু তা হবে না।
আরও পড়ুন- আমার বস্ত্রহরণ করতে চেয়েছিলেন, জনগণ কৃষ্ণ বেশে ফিরিয়ে এনেছেন
নোটিশ প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র নিজের এক্স হ্যন্ডেলে জানিয়েছেন, “হিন্ডেনবার্গকে সেবির নোটিশ লজ্জাজনক। আদানি মামলায় নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ সেবি। আদানি সুপ্রিম লিডারকে নিয়ন্ত্রণ করেন যিনি সেবি নিয়ন্ত্রণ করেন। আজকাল আহমেদাবাদ সদর দফতরের মধ্যস্তরের কর্মকর্তারাও সিবিআই এবং ইডি নিয়ন্ত্রণ করছেন।”
মোদি জমানায় আদানি গোষ্ঠীর উত্থানে দুর্নীতির ইঙ্গিত মেলে হিন্ডেনবার্গ-এর রিপোর্টে। তা প্রকাশ্যে আসতেই দাম পড়তে থাকে আদানিদের শেয়ারের। হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টে ছিল, এর জেরে আদানি গ্রুপের ৮৫ শতাংশ পর্যন্ত ক্ষতি হতে পারে। শেষ পর্যন্ত এই পূর্বাভাস হুবহু মিলে যায়। এই রিপোর্টকে কাঠগড়ায় তুলেই হিন্ডেনবার্গ-কে কারণ দর্শানোর নোটিস পাঠিয়েছে সেবি। তাতে বলা হয়েছে, আদানি গোষ্ঠীকে নিয়ে যে রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনা হয়েছে তাতে সেবির একাধিক কোড অফ কন্ডাক্ট লঙ্ঘন করা হয়েছে। প্রিভেনশন অফ ফ্রড্যুলেন্ট অ্যান্ড আনফেয়ার ট্রেড প্র্যাক্টিস রেগুলেশন এবং রিসার্চ অ্যানালিস্ট রেগুলেশন- সেবি আইনের এই দুই ক্ষেত্র লঙ্ঘিত হয়েছে বলে নোটিসে বলা হয়েছে।