সংবাদদাতা, বাঁকুড়া : বাঁকুড়ার জঙ্গলমহলে এখন রেলগাড়ি চলে না। অথচ সেখানেই রেললাইন পাতা হয়েছে। আর সেই লাইনে দিব্যি দেখা মিলছে রেলগাড়ির কামরার। আসল নয়, কামরার আদলে তৈরি করা হয়েছে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র। যা সম্ভবত রাজ্যে প্রথম। বাঁকুড়ার রানিবাঁধ ব্লকের রুদড়া অঞ্চলের প্রত্যন্ত এলাকা নারানপুর গ্রামে রেললাইনের ওপর রেলের কোচের আদলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তৈরি করা হয়েছে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র। নারানপুর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে দীর্ঘদিন স্থায়ী বাড়ি ছিল না। স্থানীয়রা দাবি জানায় বাড়ির। সেই দাবি মতো তৈরি হয়েছে কংক্রিটের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র। হয়েছে রেলের কোচের আদলে। নারানপুর, পাঞ্জনতলা, মহলডাঙা— এই তিনটি পাড়ার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি বর্তমানে মহলডাঙার অস্থায়ী জায়গাতে দীর্ঘদিন ধরে চলে। ওই তিনটি পাড়ার উপভোক্তারা সেখানে গিয়ে পুষ্টিকর খাবার সংগ্রহ করেন এবং কচিকাঁচারা পড়াশোনা করে। চলতি বছরে প্রশাসনের উদ্যোগে তৈরি করা হয়েছে স্থায়ী কেন্দ্র। বাসিন্দারা জানান, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি দেখতে খুব সুন্দর। আকর্ষণীয় বলে বাচ্চারা তো বটেই, বড়রাও ভিড় জমাচ্ছেন। বাঁকুড়ার জঙ্গলমহল এখনও সত্যিকারের রেল পায়নি। সেটা পেলে আরও ভাল হত বলে বাসিন্দারা জানান।
আরও পড়ুন-হাথরসে পদপিষ্ট হয়ে মৃতের সংখ্য়া বেড়ে দাঁড়াল ১০৭, শোকপ্রকাশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
বাঁকুড়া জেলা পরিষদের বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ চিত্তরঞ্জন মাহাতো বলেন, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকেই বাচ্চারা প্রথম বর্ণপরিচয় শেখে। বাচ্চারা যাতে সেখানে যেতে পছন্দ করে সেকথা ভেবেই রেলের কোচের আদলে তৈরি করা হয়েছে কেন্দ্রটি। এখনও কেন্দ্রটি চালু হয়নি। শিগগিরই এটি চালু হয়ে যাবে।