প্রতিবেদন : ফের সেই হাথরস (Hathras Stampede)। ফের মৃত্যু। এবার দু’-দশজন নয়, এখনও পর্যন্ত ১১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে প্রতি মুহূর্তে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। যোগী সরকারের চূড়ান্ত প্রশাসনিক গাফিলতিতে প্রাণ গেল হতভাগ্য পুণ্যার্থীদের। মঙ্গলবার হাথরসের ফুলরাই গ্রামে সৎসঙ্গ চলছিল। ছোট্ট পরিসরে ভিড় করেছিলেন প্রায় ৫০ হাজার মানুষ। কিন্তু গেট ছোট হওয়ার কারণে দ্রুত বেরতে গিয়েই পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন পুণ্যার্থীরা। মৃতদের মধ্যে প্রচুর মহিলা ও শিশু রয়েছে। যখন এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে তখন আশপাশে সাহায্যের জন্য যোগী প্রশাসনের কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। প্রাথমিকভাবে গ্রামবাসীরাই গুরুতর আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যান। যোগীর পুলিশ মিডিয়াকে দায়সারা কয়েকটি লাইন বলেই চুপ করে গিয়েছে। এই ঘটনায় স্তম্ভিত গোটা দেশ। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মঙ্গলবার বিকেলে দুর্ঘটনার খবর পাওয়ামাত্রই সোশ্যাল মিডিয়ায় গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন। স্বজনহারাদের পরিবারকে সমবেদনা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: গণপ্রহারে জিরো টলারেন্স স্পষ্ট বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী
স্বজনহারার বুকভাটা আর্তনাদে ভারী হয়েছে হাথরসের (Hathras Stampede) বাতাস। পার্শ্ববর্তী হাসপাতাল ও মর্গে লাশের স্তূপ। তাতেও যেন হেলদোল নেই কারও। পুলিশসূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন শিবের সৎসঙ্গের অনুষ্ঠান উপলক্ষে ব্যাপক ভক্তসমাগম হয়েছিল। ভিড়ের চাপে আচমকাই হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায়। তারপরেই আর্তনাদ। শুরু হয়ে যায় ছুটোছুটি। অনেকেই টাল সামলাতে পড়ে যান মাটিতে। কিন্তু তাঁদের টেনে তোলা তো দূরের কথা, মাড়িয়ে দিয়েই চলে যায় জনস্রোত। এর আগে দলিতদের উপর অত্যাচার, মহিলাদের ধর্ষণ-খুনের জন্য শিরোনামে শিরোনামে এসেছিল হাথরস। এখনও সেই ঘটনাগুলি টাটকা। এরইমধ্যে স্রেফ প্রশাসনিক গাফিলতিতে এতগুলি মানুষের মৃত্যু হওয়ায় যোগী সরকারের উপর ক্ষোভে পড়ছেন দেশবাসী।