প্রতিবেদন : দেশের সংবিধানকেই মুছে ফেলতে চেয়েছিল কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। সেই সংবিধানকে রক্ষা করার শপথ নিয়ে লোকসভা ভোটে লড়াই করেছে বিরোধী জোট। এদিন রাজ্যসভায় দাঁড়িয়ে সেই বিরোধীদের উদ্দেশ্যেই হাস্যকর অভিযোগ আনলেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর অভিযোগের জবাবে বিরোধীরা পাল্টা বলতে চাইলেও তাঁদের সে-সুযোগ দেননি রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকড়। প্রতিবাদে বুধবার রাজ্যসভা থেকে ওয়াকআউট করেন ইন্ডিয়া জোটের সাংসদরা।
আরও পড়ুন-হাথরসে মৃত্যুমিছিল! সুপ্রিম কোর্টে মামলা, তদন্ত কমিটি গঠনের আর্জি
এদিন, রাজ্যসভায় রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদজ্ঞাপন ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী। ভাষণে তিনি দাবি করেন, বিরোধীদের কার্যকলাপ অসাংবিধানিক। তাঁর বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বিরোধীরা বলতে থাকেন, বিজেপি ও তাদের সঙ্গী আরএসএস কোনওদিন সংবিধানকে মানেনি, তাদের মুখে সংবিধান নিয়ে বিরোধীদের সমালোচনা মানায় না। রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গের দাবি করেন, অর্গানাইজারে লেখা হয়েছে ভারতের নতুন সংবিধানের সবথেকে খারাপ দিক এটাই যে এখানে ভারতের কিছু নেই। মনুস্মৃতিতে আজ পর্যন্ত তুলে ধরা মনুর আইন গোটা দুনিয়ায় প্রশংসিত। এটা বলা হয়েছে আরএসএসের তরফে। আর আজ নিজে তাকে রক্ষার কথা বলছেন! আর আমাদের সংবিধান বিরোধী বলছেন। এরা আম্বেদকর, নেহরুর কুশপুতুল জ্বালিয়েছিল। প্রথমদিন থেকে এরা সংবিধান-বিরোধী। একই সঙ্গে সংসদে বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করা নিয়েও সরব হন খাড়গে। লোকসভায় রাহুল গান্ধীর বক্তব্যের সময় বারবার সরকার পক্ষকে বলার সুযোগ দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর তোলা অভিযোগের সময় বিরোধীদের সেই সুযোগ দেওয়া হল না। তারই প্রতিবাদে এদিন ওয়াকআউটের পথে যান বিরোধী সাংসদেরা।