প্রতিবেদন : হাথরসকাণ্ডের খলনায়ক ভোলেবাবাকে কি আড়াল করার চেষ্টা করছে যোগীর প্রশাসন? পদপিষ্ট হয়ে ১২০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যুর ভয়াবহ ঘটনার প্রায় ২৪ ঘন্টা পরেও স্বঘোষিত এই ধর্মপ্রচারককে গ্রেফতার তো দূরের কথা, তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর পর্যন্ত দায়ের করেনি যোগীরাজ্যের পুলিশ! শাক দিয়ে মাছ ঢাকতে এফআইআর করা হয়েছে শুধুমাত্র সৎসঙ্গের আয়োজকদের বিরুদ্ধে। পুলিশের কাছে খবর ছিল ঘটনাস্থল ফুলরাই গ্রাম থেকে ১০০ কিমি দূরে মৈনপুরীতে তাঁর আশ্রমে গা ঢাকা দিতে পারেন ভোলেবাবা। কিন্তু মঙ্গলবার রাতেই সেখানে না পৌঁছে পুলিশবাহিনীর সেখানে পৌঁছতে বুধবার সকাল হয়ে গেল কেন?
আরও পড়ুন-নজর ঘোরাতে রাজ্যপালের মামলা-নাটক, জবাবও
প্রশ্ন উঠেছে, খলনায়ক সুরজ পাল সিং বা ভোলেবাবাকে পালানোর সুযোগ করে দিতেই কি পুলিশ সেখানে অনেক দেরিতে হাজির হল? বুধবার সেই আশ্রমে বিশাল পুলিশ বাহিনীর হাজিরা কি নিছকই আইওয়াশ? এদিকে এই ঘটনার যথাযথ তদন্তের আর্জি জানিয়ে বুধবারই সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা হয়েছে জনস্বার্থ মামলা। মামলা হয়েছে এলাহাবাদ হাইকোর্টেও। সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছেন আইনজীবী বিশাল তিওয়ারি। ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠনের পাশাপাশি দোষীদের কঠোর শাস্তিও দাবি করেছেন তিনি। ভোলেবাবার সেবাদাসরাই ঠেলে দিয়েছে অসহায় ভক্তদের। কিন্তু ঘটনার মূল পাণ্ডা ভোলেবাবার নামে কেন এফআইআর করল না পুলিশ? তার কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি যোগী। এই ঘটনার জন্য যোগীকেই দায়ী করেছেন সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমো অখিলেশ যাদব। তাঁর অভিযোগ, রাজ্য সরকারের প্রশাসনই এমন মর্মান্তিক ঘটনার জন্য দায়ী। এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ১২৬। লাশের পাহাড় দেখে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল রবি কুমার নামে এক পুলিশ কনস্টেবলের। প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ বলেন, হাথরস-কাণ্ডে ভোলেবাবার নাম নেই। সেবায়েতের নাম নেওয়া হচ্ছে। চোখে ধুলো দেওয়ার মামলা করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য পরিকাঠামো পুরোদস্তুর বেহাল। যার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে সে বেশ বদল করে, ভোলেবাবা হয়ে গেল! এটা কি আদৌ উত্তরপ্রদেশ সরকার দেখেছে? কেন প্রধানমন্ত্রী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এই নিয়ে বিবৃতি দিচ্ছেন না? কেন এখনও অ্যারেস্ট করা হয়নি, কেন তার নাম অভিযুক্তদের তালিকায় নেই, কেন এখনও পালিয়ে বেড়াচ্ছে? তদন্তকে প্রভাবিত করতে নিজের সোর্সকে কাজে লাগাচ্ছে।