সংবাদদাতা, বাগদা : বুধবারই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন বিধায়ক তথা জেলা সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী। হুঁশিয়ারির ২৪ ঘন্টার মধ্যে বৃহস্পতিবার দুপুরে বাগদা বিধানসভার পুরনো বাজারের পাশে বাতনা নদীর পাশে দখল হয়ে যাওয়া জায়গা পরিদর্শন করলেন বাগদা বিডিও, বিএলআরও ও বাগদা থানার ওসি। সরেজমিনে তদন্তে করে তাঁরা শুক্রবারের মধ্যে উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসককে রিপোর্ট দেবেন। প্রশাসন সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে বলে জানা গিয়েছে। সভাধিপতি ও প্রশাসনের উদ্যোগে খুশি বাগদাবাসী।
সম্প্রতি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারি জমি দখল হয়ে যাওয়া নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন।
আরও পড়ুন-দেশ বাঁচাও গণমঞ্চের সঙ্গে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী
শুধু তাই নয়, তিনি নেতাদের একাংশ ও প্রশাসনিক কর্মীদের একাংশকে প্রকাশ্যে ভর্ৎসনা করেন। এরপরেই নড়েচড়ে বসে সকলে। ইতিমধ্যেই বাগদা বিধানসভার উপনির্বাচনে জেলার ৫ হেভিওয়েট নেতাদের উপর দায়িত্ব দেয় দল। হেভিওয়েট নেতাদের কাছে পেয়েই বাগদাবাসী একের পর এক অভিযোগ করেন। এলাকার কিছু মানুষের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে সরকারি জমি দখলের ও মুখ্যমন্ত্রী মস্তিষ্কপ্রসূত সরকারি প্রকল্প পাইয়ে দেওয়ার নামে কাটমানি নেওয়ার। এরপরেই বাগদার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা মুখ্যমন্ত্রী তথা দলনেত্রীর নির্দেশ মতো কঠোর পদক্ষেপ নিতে শুরু করেন। সেই নিরিখেই বাগদায় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী মধুপর্ণা ঠাকুরের হয়ে প্রচারে গিয়ে সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, সরকারি জমি দখল করা যাবে না, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ আছে। যারা দখল করেছেন তাঁরা জমি ছেড়ে দিন। নাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কেউ দলের ঊর্ধ্বে নয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যে নির্দেশ দেবেন সেটা মেনে চলাই আমাদের কাজ। সভাধিপতির হুঁশিয়ারির পরেই এদিন সরকারি আধিকারিকেরা দখল হয়ে যাওয়া এলাকা পরিদর্শন করেন। এলাকা পরিদর্শনের খবর ছড়িয়ে পড়তেই বাগদার মানুষ খুশি। তারা মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তাঁদের আশা এবার বাগদায় উন্নয়ন হবে এবং বাগদার মাটি দুর্নীতিমুক্ত হবে।