প্রতিবেদন: ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন হেমন্ত সোরেন (Hemant Soren)। বৃহস্পতিবার সকালেই রাজ্যপাল সি পি রাধাকৃষ্ণন তাঁকে সরকার গঠনের আমন্ত্রণ জানান। প্রথমে কথা ছিল, হেমন্ত শপথ নেবেন রবিবার ৭ জুলাই। কিন্তু দুপুরের দলের জরুরি বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, রবিবার নয়, মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন বৃহস্পতিবারই। লক্ষণীয়, এই নিয়ে তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসলেন তিনি। প্রায় ৫ মাস পরে রাজ্য পরিচালনার গুরুদায়িত্বে ফিরলেন। বুধবারই মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন চম্পাই সোরেন। ইস্তফার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর গুরুদায়িত্বে ফিরে এলেন শিবু সোরেন-পুত্র হেমন্ত। মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনেই বুধবার বৈঠক বসেছিল শাসক ইন্ডিয়া জোটের। ঝাড়খণ্ড মুক্তিমোর্চার সদস্যরা ছাড়াও সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস এবং আরজেডির বিধায়করাও। সেখানেই ঠিক হয় চম্পাই সোরেনকে অব্যাহতি দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী পদে ফিরিয়ে আনা হবে হেমন্তকেই (Hemant Soren)। এই সিদ্ধান্তের পরে আর দেরি করেননি চম্পাই। সন্ধ্যার মধ্যেই রাজভবনে গিয়ে ইস্তফাপত্র দিয়ে দেন তিনি। তবে তাঁকে শান্ত রাখার জন্য জেএমএমের কার্যকরী সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। এই পদে এতদিন ছিলেন হেমন্ত সোরেনই। লক্ষণীয়, জমি সংক্রান্ত আর্থিক অনিয়মের মামলায় গত ৩১ জানুয়ারি হেমন্তকে গ্রেফতার করে ইডি। তবে তার আগেই মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়েছিলেন তিনি। দলের সিদ্ধান্ত মেনে সেই দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন প্রবীণ নেতা চম্পাই সোরেন। ৫ মাস রাঁচির বীরসা মুন্ডা জেলে বন্দি ছিলেন হেমন্ত। ২৮ জুন ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টের নির্দেশে জামিনে মুক্ত হন তিনি। তবে এই জামিনের বিরোধিতা করে ইডি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। আর কয়েকমাস পরেই ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা নির্বাচন।
আরও পড়ুন: কত ধানে কত চাল বুঝিয়েছে বাংলা, এখনও তাই মোদিজির কমেনি জ্বালা