স্টুটগার্ট, ৫ জুলাই : জার্মানদের হৃদয়ে পেরেক ঠুকে দিলেন মিকেল মেরিনো। অতিরিক্ত সময়ে তাঁর গোলে স্পেন (Spain) ইউরো ২০২৪-এর সেমিফাইনালে উঠল। আর এই গোলই টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে দিল আয়োজক দেশ জার্মানিকে।
নির্ধারিত সময়ে খেলার ফল ১-১ হওয়ায় ম্যাচ গড়িয়েছিল অতিরিক্ত সময়ে। আর অতিরিক্ত সময়ে একচেটিয়া খেলেও গোলের দেখা পাননি টনি ক্রুসরা। এই হারের সঙ্গেই ফুটবল থেকে বিদায় নিলেন জার্মানি ও রিয়াল মাদ্রিদের মহাতারকা ক্রুস। এর আগে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতে তিনি ক্লাব ফুটবল থেকে বিদায় নিয়েছিলেন।
শুক্রবারের মহারণে বেশ অদ্ভুত তথ্য ছিল প্লেয়ার্স লিস্টে। মাত্র ক’দিন আগে যাঁরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে রিয়াল মাদ্রিদকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ এনে দিয়েছেন, সেই তাঁরাই এদিন মুখোমুখি লড়াইয়ে নেমেছিলেন ইউরো কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে। ক্রুস, রুডিগার খেললেন জার্মানির হয়ে। স্পেনের (Spain) হয়ে খেললেন নাচো, কার্ভাহাল ও জসেসু।
স্টুটগার্ট এরিনায় এটা ছিল ইউরোর প্রথম ম্যাচ। স্পেন ও জার্মানি, দুটো দলই শুরু করেছিল আক্রমণাত্মক মেজাজে। এই ম্যাচে নজর ছিল কয়েকজন তরুণের দিকে। জার্মানির জামাল মুসিয়ালা ইতিমধ্যেই তারকা। স্পেনের ইয়ামাল আর নিকো উইলিয়ামসও ইউরোতে নজর কেড়ে নিয়েছেন।
স্পেনের পাসিং ফুটবল আটকাতে নাগেলসমানের ছেলেরা প্রথম মিনিট থেকে বল প্রয়োগ করেছেন। ৪ মিনিটে ক্রুস মারাত্মক ট্যাকল করেও কার্ড দেখা থেকে বেঁচে যান। কিন্তু ক্রুসের কপাল রুডিগারের ছিল না। তিনি আগের ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও হলুদ কার্ড দেখলেন। দুটো হলুদ কার্ড মিলে জার্মান তারকার জন্য এক ম্যাচ নির্বাসন বয়ে আনল। তবে তাঁরা এখন টুর্নামেন্টের বাইরে।
প্রথমার্ধে খেলার ফল ছিল ০-০। তবে এই অর্ধে জার্মানির থেকে স্পেনকেই বেশি চোখে পড়েছে। দুটো হাফ চান্স তারা নষ্ট করেছে। তবে গোল না পেলেও প্রথমার্ধে স্পেনের স্ট্রাইকার দানি অলমো জার্মান ডিফেন্সের ত্রাস হয়ে উঠেছিলেন। তবে রুডিগার দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে নিজেকে একটু গুটিয়ে নেওয়ায় স্পেনের জন্য খালি জমি সামনে এসে পড়েছিল। তবে জার্মানি কয়েকটি সুযোগ পেয়েছিল। সেটা কাজে লাগাতে পারেননি হার্ভেজরা।
দ্বিতীয়ার্ধে একজোড়া পরিবর্তন করে দল নামিয়েছিলেন নাগেলসমান। আর প্রথম মিনিটেই বক্সের বাইরে থেকে মোরাতার নেওয়া শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়েছে। তবে ৫২ মিনিটে স্পেনের হয়ে গোল করতে ভুল করেননি অলমো। তাঁর ডান পায়ের মাটি ঘেঁষা শট জার্মানির জালে জড়িয়ে যায়।
কিন্তু এই গোলের পরই জেগে উঠেছিল জার্মানি। ঢেউয়ের মতো আক্রমণ এসে পড়ছিল স্পেনের বক্সে। এইসময় নিকলাস ফুলক্রুগের গড়ানো শট পোস্টে প্রতিহত হয়েছে। ম্যাচ যখন প্রায় স্পেনের পকেটে তখনই ৮৯ মিনিটে ফ্লোরিয়ান উইর্টজ গোল করে জার্মানিকে সমতায় ফিরিয়েছেন। এরপরই খেলা গড়ায় এক্সট্রা টাইমে। অতিরিক্ত সময়ে কার্বাহাল দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখায় সেমিফাইনালে খেলতে পারবেন না।