প্রতিবেদন : অবিজেপি রাজ্যগুলিকে ডাক্তারি প্রবেশিকার অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে এবং কুক্ষিগত করতেই সর্বভারতীয় স্তরে ডাক্তারিতে স্নাতকে ভর্তির কাউন্সেলিং পিছিয়ে দিল এনটিএ। এই ঘটনাকে ঐতিহাসিক আখ্যা দিয়ে রীতিমতো কেন্দ্রের চাপ বাড়ালেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। একইসঙ্গে তাঁর টিপ্পনী, এক মাঘে শীত যায় না। অর্থাৎ অবিজেপি রাজ্যগুলির জন্য কেন্দ্র যেভাবে ফাঁদ পাতছে সেই ফাঁদে তাদের নিজেদেরও পড়তে হবে। অনির্দিষ্টকালের জন্য পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে নিট-ইউজি কাউন্সেলিং।
আরও পড়ুন-এক বছরে ২০ জনের মৃত্যু, কেন্দ্রের অপরিকল্পিত প্রকল্পের জের, ফের অগ্নিবীরের আত্মহত্যা
শনিবার ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির তরফে জানানো হয় কাউন্সেলিং হচ্ছে না। তবে কবে এই প্রক্রিয়া শুরু হবে তা নিয়েও নির্দিষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি। ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষার ফলাফলে কারচুপির অভিযোগে দেশ জুড়ে শোরগোল তৈরি হয়েছে। এরমধ্যেই কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া থমকে যাওয়ায় রীতিমতো অন্ধকারে ডাক্তারি পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন ব্রাত্য বসু। বলেন, সর্বভারতীয় পরীক্ষা এবং কাউন্সেলিং স্থগিত হওয়ার নেপথ্যে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর ব্যর্থতা। এক দিকে, কেন্দ্র ডাক্তারির সর্বভারতীয় প্রবেশিকা আয়োজন করতে ব্যর্থ হয়েছে, অন্য দিকে, অ-বিজেপি রাজ্যগুলি থেকে ডাক্তারি প্রবেশিকার অধিকার কেড়ে নিয়েছে। এখন তারই প্রভাব পড়ছে পড়ুয়াদের জীবনে। শিক্ষামন্ত্রীর কথায়, রাজ্যের হাত থেকে সব ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। এটা তার ঐতিহাসিক প্রতিক্রিয়া। ফলে দেশের লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ প্রশ্নচিহ্নের মুখে। আমরা মনে করি, ২০১৬-১৭-র আগে যেমন রাজ্যের হাতে জয়েন্টের পরীক্ষার দায়িত্ব ছিল তেমনই ফিরিয়ে দেওয়া হোক। স্বচ্ছতার সঙ্গে রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রাস বোর্ড এটা করতে পারবে।
আরও পড়ুন-যোগীরাজ্যে মহিলা প্রিন্সিপালকে ঘাড় ধাক্কা, ভাইরাল ভিডিও
ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের কথা প্রকাশ্যে আসার পর নিট পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে গোটা দেশ উত্তাল হয়ে ওঠে। কিন্তু এনটিএ কোনওভাবেই পুরো পরীক্ষা বাতিল করতে চায়নি। মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে। শীর্ষ আদালত স্পষ্ট করে জানিয়ে দেয় কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া বন্ধ করা যাবে না। সেই কাউন্সেলিং শনিবার থেকে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও আচমকাই সেই প্রক্রিয়াও স্থগিত করল পরীক্ষা নিয়ামক সংস্থা । কেন এমন সিদ্ধান্ত তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।