সংবাদদাতা, কোচবিহার : অবিরাম বৃষ্টিতে ফুঁসছে কোচবিহারের নদীগুলি। কোচবিহারের রায়ডাক নদীতে ইতিমধ্যেই লাল সতর্কতা জারি করেছে প্রশাসন৷ রায়ডাক ও কালজানির জল বেড়ে প্লাবিত হয়েছে বক্সিরহাট ও তুফানগঞ্জের চিলাখানা, নাটাবাড়ির বিভিন্ন এলাকা। এদিন জাইগির চিলাখানা গ্রাম পরিদর্শনে যান উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। রবীন্দ্রনাথ বলেন, নদীতীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেছেন।
আরও পড়ুন-বেলপাহাড়ির কানাইসর পাহাড়পুজোয় লক্ষাধিক মানুষের ভিড়
দুর্গতদের দেওয়া হয়েছে শুকনো খাবার৷ এলাকার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ব্লক প্রশাসনের সঙ্গেও কথা বলেছেন। প্রয়োজনমতো ত্রাণশিবির খোলা হবে বলেও জানান। এদিকে মানসাই নদীর জল বাড়ায় কোচবিহার ১ নম্বর ব্লকের বিস্তীর্ণ গ্রামপঞ্চায়েতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এলাকার বিভিন্ন ত্রাণশিবির ঘুরে দেখেছেন কোচবিহারের তৃণমূলের জেলা পরিষদ সভাধিপতি সুমিতা বর্মন। সুমিতা বলেন, মানসাই নদীর জল বেড়ে গ্রামের রাস্তার উপর দিয়ে বইছে। খবর পেয়ে তিনি প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেন, বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন৷ মানসাইয়ের জলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন কোচবিহার ১ ব্লকের পুঁটিমারি ফুলেশ্বরী গ্রামের বাসিন্দারা৷ গোসানিমারি গ্রামে ত্রাণশিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন প্রায় ৫০ জন৷ তাঁদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ সিতাই পঞ্চায়েত সমিতির উদ্যোগে প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে তৃণমূল নেতারা সিঙ্গিমারি নদী লাগোয়া দুর্গতদের দিয়েছেন ত্রিপল ও শুকনো খাবার৷ কোচবিহার ১ ব্লক পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আব্দুল কাদের হক গিয়েছিলেন তোর্সার জল ঢুকে ক্ষতিগ্রস্ত গুড়িয়াহাটিতে৷ মাথাভাঙার একাধিক গ্রাম ঘুরে দেখেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সাবলু বর্মন।