প্রতিবেদন : দুর্নীতি, প্রতারণা, বঞ্চনার জবাব। কোচবিহারে ১২৮টি পঞ্চায়েতের মধ্যে ১১৮টিই হাতছাড়া হল বিজেপির। একমাসের মধ্যে প্রায় ১৪টি পঞ্চায়েত হাতছাড়া হয়েছিল বিজেপির। প্রধান, উপপ্রধানরা একে একে যোগদান করেন তৃণমূল কংগ্রেসে। শনিবার রাতে অন্দরান ফুলবাড়ি ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের চার সদস্য যোগ দেন তৃণমূল কংগ্রেসে৷ জেলা পার্টি অফিসে তাঁদের হাতে পতাকা তুলে দেন তৃণমূল জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক। এই গ্রাম পঞ্চায়েতে ১২টি আসনের মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের এই অঞ্চলে আগে ছিল ৩ সদস্য। বিজেপি ছেড়ে চার সদস্য তৃণমূলে যোগ দিলে ৭ আসন নিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে তৃণমূল।
আরও পড়ুন-বেঙ্গালুরুতে পড়ুয়ার মৃত্যু
এই অঞ্চলটি নিয়ে ১৪টি অঞ্চল বিজেপির হাতছাড়া হয়ে তৃণমূলের দখলে এসেছে৷ এই প্রসঙ্গে কোচবিহারের তৃণমূল কংগ্রেস জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক জানিয়েছেন, বিজেপিতে থেকে যে উন্নয়ন সম্ভব নয় তা বুঝে গিয়েছেন বিজেপি পঞ্চায়েত প্রধানরা৷ তাই দলে দলে বিজেপি দল ছেড়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে এলাকার উন্নয়নের লক্ষ্যে যোগ দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসে। লোকসভায় বিজেপি কোচবিহার আসনে হারের পরে যে ১৪টি গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূলের দখলে এসেছে সেগুলি হল অন্দরান ফুলবাড়ি-১ ও ২, নাটাবাড়ি-১, বারকোদালি -২, ফুলবাড়ি, কুচলিবাড়ি, বাগডোকরা, নয়ারহাট, পারাডুবি, ঢাংঢিংগুড়ি, মাতালহাট, ভেটাগুড়ি-১ ও ২ এবং বলরামপুর ২।