প্রতিবেদন: জমি দুর্নীতি মামলায় জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পরই গত ৪ জুলাই মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছিলেন হেমন্ত সোরেন (Hemant Soren)। সোমবার হবে আস্থাভোট। ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের দ্বিতীয় দফার অগ্নিপরীক্ষা। আস্থাভোটকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে চড়ছে রাজনীতির পারদ। তবে নিজের জয় নিয়ে নিশ্চিন্ত সোরেন। আস্থাভোটের পরই মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ করা হবে। এই মুহূর্তে ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় পাল্লা ভারী ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার। কারণ বিধানসভায় ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার ২৭ জন বিধায়কের পাশাপাশি কংগ্রেসের ১৭ এবং আরজেডির একজন বিধায়কের সমর্থন পাবেন হেমন্ত। অন্যদিকে মেরেকেটে ৩০ জনের সমর্থন রয়েছে বিজেপির নেতৃত্বাধীন বিরোধী জোটের। তবে আস্থাভোটে জয়ী হতে হেমন্তের প্রয়োজন মাত্র ৩৮ জনের সমর্থন। লোকসভা ভোটে বিরোধী শিবিরের ভাল ফল হওয়ায় উজ্জীবিত ঝাড়খণ্ডের ক্ষমতাসীন সরকার। গত ৩১ জানুয়ারি জমি কেলেঙ্কারি মামলায় গ্রেফতার করা হয় হেমন্ত সোরেনকে। গ্রেফতারির ঠিক আগেই তিনি মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন। এরপর হেমন্তের কুর্সিতে বসেন চম্পাই সোরেন। তবে প্রায় পাঁচ মাস জেলে থাকার পর গত ২৮ জুন হেমন্তকে জামিন দেয় ঝাড়খণ্ড হাইকোর্ট। এরপরই চম্পাই ইস্তফা দিলে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার ফিরে পান হেমন্ত।
আরও পড়ুন: বাজার আগুন অথচ নিষ্ক্রিয় মোদি সরকার
তবে বিজেপির পাতা ফাঁদে পা না দেওয়ায় ফের হেমন্তকে হাতে পেতে তৎপর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইতিমধ্যে হেমন্তের মুক্তির বিরোধিতা করে ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তবে ঘনিষ্ঠ মহলে হেমন্ত (Hemant Soren) জানিয়ে দিয়েছেন আবার তাঁকে গ্রেফতার করা হলে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়বেন না। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালের দৃষ্টান্ত তুলে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার প্রধান বলেছেন, কেন্দ্রের প্রতিহিংসার রাজনীতির জবাব দিতে পিছু হঠার প্রশ্ন নেই।