প্রতিবেদন : উপনির্বাচনে প্রচারের শেষ দিনে ঝড় তুলে দিল তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন প্রার্থী সুপ্তি পাণ্ডের হয়ে প্রচারে অংশ নিল ক্রীড়া মহল। সকলকে চমকে দিয়ে সোমবার সকালে উল্টোডাঙা রেলস্টেশন থেকে হাতিবাগান স্টার থিয়েটার পর্যন্ত হল শোভাযাত্রা। ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের নেতৃত্বে এই শোভাযাত্রায় পা মেলালেন আইএফএ সভাপতি অজিত বন্দ্যাপাধ্যায়-সহ ফুটবল-ক্রিকেট-দাবা ও অন্যান্য নানা ক্ষেত্রের তারকারা সঙ্গে দলীয় কর্মী-সমর্থকেরা। এই বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে কার্যত প্রচার পর্বেই ভেসে গেল বিরোধীরা।
আরও পড়ুন-লোকসভা ভোটে জয়ের আনন্দে মদ বিলি করলেন বিজেপি সাংসদ
শোভাযাত্রা শেষে এদিন স্টার থিয়েটারের সামনে বক্তৃতা করেন বাংলার স্বনামধন্য খেলোয়াড়রা। বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবেকে খোঁচা দিয়ে তাঁরা স্পষ্ট ভাষায় বলেন, একজন অপদার্থ ক্রীড়া প্রশাসক দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ডুবিয়ে ছেড়েছে। এখানে ভোটে হেরে পালিয়ে গিয়েছিল আবার কোর্টে গিয়েও দীর্ঘদিন ভোট আটকে রেখেছিল এলাকায়। যে ক্রীড়া প্রশাসকের চেয়ারে বসে সার্ভিস দিতে পারে না, চূড়ান্ত ব্যর্থ হয় সে একটি কেন্দ্রের মানুষকে কীভাবে পরিষেবা দেবে? বিভিন্ন তারকারা একে একে ব্যাখ্যা করেন কীভাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে উন্নতি হয় বাংলার ক্রীড়াক্ষেত্রের। আর্থিক বরাদ্দ থেকে খেলোয়াড়দের পাশে দাঁড়ানো— সর্বক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে রাজ্য সরকার। মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ছাড়াও এদিনের প্রচারে ছিলেন অতীন ঘোষ, প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ-সহ আবিদ হোসেন, অজিত বন্দ্যোপাধ্যায়, অলোক মুখোপাধ্যায়, অমর গঙ্গোপাধ্যায়, অমিত দাস, অরূপ বৈদ্য, অরূপ ভট্টাচার্য, বিদেশ বসু, বিকাশ পাঁজি, বিশ্বজিৎ পালিত, কম্পটন দত্ত, দিব্যেন্দু বড়ুয়া, দীপেন্দু বিশ্বাস, গোবিন্দ প্রামাণিক, গৌতম সরকার, হাবিবুর রহমান, হুসেন মুস্তাফি, কার্তিক শেঠ, কৃষ্ণেন্দু রায়, মানস ভট্টাচার্য, মেহতাব হোসেন, নাসিম আখতার, নিমাই গোস্বামী, প্রশান্ত চক্রবর্তী, রহিম নবি, রমা সরকার, রবিন বোলদে, সমরেশ চৌধুরী, সঞ্জয় মাঝি, শিশির ঘোষ, সৌমিক দে, সুমিত বন্দ্যোপাধ্যায়, তুষার শীল।