তিস্তায় কি জল আছে, যে দেবে?

কিন্তু, গঙ্গার চুক্তির বিষয় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সাথে আমাদের প্রধানমন্ত্রীর যে আলোচনা হল তা আমাকে জানানোই হল না! এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক

Must read

প্রতিবেদন : বাংলাদেশের সঙ্গে গঙ্গা ও তিস্তা জল বন্টন চুক্তির বিষয়ে ফের সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবারের সাংবাদিক বৈঠক থেকে এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি। তিস্তার জল বাংলাদেশকে দিয়ে দিলে আগামীতে উত্তরবঙ্গের মানুষ পানীয় জলও পাবে না বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।

আরও পড়ুন-একুশে জুলাই, প্রশাসনকে সতর্ক করলেন মুখ্যমন্ত্রী

গঙ্গা-সহ বিভিন্ন নদীর ভাঙন নিয়ে এদিন সরব হন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, এখন আমাদের না জানিয়ে আবার বলা হচ্ছে ফরাক্কা চুক্তি নবীকরণ হবে। কিন্তু, গঙ্গার চুক্তির বিষয় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সাথে আমাদের প্রধানমন্ত্রীর যে আলোচনা হল তা আমাকে জানানোই হল না! এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। এর মধ্যেই আবার বলছে, তিস্তার জল দিয়ে দেবে। তিস্তায় কি জল আছে যে দেবে? বাংলাদেশকে তিস্তার জল দিলে বাংলার উত্তরবঙ্গের একটি মানুষও খাবার জল পাবে না। কেন্দ্রীয় সরকারকে তিনি মনে করিয়ে দেন, তিস্তায় এই সময় (বর্ষায়) যেমন জল থাকে তা গ্রীষ্মে থাকে না। এই সময় বর্ষার জল দেখে সবকিছু যেন বিবেচনা না করা হয়। মুখ্যমন্ত্রী সিকিমের বিষয় উল্লেখ করে বলেন, সিকিমে ১৪টি বাঁধ দিয়ে হাইড্রেল পাওয়ার করা হল। কেন্দ্র সরকারের দেখা উচিত ছিল। কেন্দ্র জানে, আমাদের দেশের জন্য সিকিম বর্ডার কতটা ভয়ানক। অরুণাচল বর্ডার কতটা ভয়ানক। কিন্তু কোনও মনিটরিং সিস্টেম নেই। অথচ, আমরা বারবার ইনফর্ম করেছি। কিন্তু তারা কোনও অ্যাকশন নেয়নি। যে কারণে বাংলার মানুষকে সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে। আত্রেয়ী নদীর পরিস্থিতি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, আত্রেয়ী নদীতে বাংলাদেশ ও চিন মিলে যে বাঁধ দিয়েছে, সেটা করার সময়ও আমাদের জানানো হয়নি। যে কারণে রাজ্যের ওই অঞ্চলের বহু মানুষ খাবার জল পাচ্ছে না। সেখানে খাবার জলর সংকট তৈরি হয়েছে। আমি আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে বিষয়টা অনেকবার বলেছি। আগে ইন্দো বাংলাদেশের মিটিংগুলোয় আমাকে ডাকা হত। সেখানে এই সমস্যার কথা আমি বারবার তুলে ধরেছি। তারপরেও সেখানে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

Latest article