বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী, আলিপুরদুয়ার: অতিবৃষ্টিতে ফুঁসছে উত্তরের নদীগুলি। জল ঢুকে গিয়েছে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানেও। এই অবস্থায় ব্যবস্থা নিয়েছে বন দফতর। বন্যপ্রাণীদের রক্ষা করতে এবং জঙ্গলে বিশেষ নজরদারি চালাতে নামানো হয়েছে বোট। পাশাপাশি জাতীয় উদ্যানে কর্তব্যরত বনকর্মীদের জন্যও পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে খাবার। জলের তোড়ে কয়েক জায়গায় ভেঙে গিয়েছে জঙ্গলের ভেতরের চলাচলের পথ।
আরও পড়ুন-জল জমা নিয়ে রেলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ মুখ্যমন্ত্রীর
কয়েকটি নজরমিনার ও বিট অফিস একপ্রকার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। এই অবস্থায় জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের একশৃঙ্গ গন্ডার-সহ অন্যান্য বন্যপ্রাণীর নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে, এবং যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন বিট অফিস ও নজরমিনারে দায়িত্বপ্রাপ্ত বনকর্মীদের কাছে দৈনন্দিন নিত্যপ্রয়োজনীয় রেশন সামগ্রী পৌঁছে দিতে নামানো হয়েছে স্পিড বোট। এই বোটগুলোর সহায়তায় এই দুর্যোগের মধ্যে যেমন বন পাহারার কাজ চলছে, তেমন জঙ্গলের ভেতরে বিভিন্ন এলাকায় আটকে পড়া বনকর্মীদের জন্য রেশন সামগ্রীও পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের ডিএফও পারভিন কাসোয়ান বলেন, তোর্সা ও শিসামারা নদীর জল জঙ্গলে ঢুকে বেশ কিছু জায়গায় রাস্তা নষ্ট হয়ে গিয়েছে, তাই আমরা বোটের সাহায্যে সেই সব জায়গায় রেশন পাঠাচ্ছি। পাশাপাশি বোট দিয়ে জঙ্গলে নজরদারিও চালানো হচ্ছে। জাতীয় উদ্যানের নিরাপত্তায় বনকর্মীরা সর্বদা সতর্ক। ভরা বর্ষায় এই মুহূর্তে উত্তাল অবস্থায় বয়ে চলছে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান সংলগ্ন তোর্ষা ও শিসামারা নদী। ভুটান পাহাড়ে প্রবল বৃষ্টিপাত ও ডুয়ার্স জুড়ে গত কয়েকদিনের অবিরাম বর্ষণে এই দুই নদী-সহ প্রায় সব নদীই ফুলে ফেঁপে উঠেছে। নদীর আশপাশে থাকা বেশ কিছু এলাকা ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছে। সব থেকে খারাপ অবস্থা জাতীয় উদ্যানের লাগোয়া শিসামারা নদী ও তোর্ষা নদীতে। শিসামারা নদীর বাঁধ ভেঙে জল ঢুকে গিয়েছে জাতীয় উদ্যানের বেশকিছু এলাকায়।