মারণ রোগ এইচআইভি নিরসনের উপায় খুঁজে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এই গবেষণায় খরচ করা হয়েছে হাজার হাজার কোটি টাকা। বছরে দুবার ইঞ্জেকশন নিলেই নাকি জব্দ হবে এইডস (HIV)।
এইচআইভি (HIV) মানুষের শরীরে প্রবেশ করলে তা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে পুরোপুরিভাবে নষ্ট করে দেয়। এই ভাইরাস সামান্য অসুখকেও বাড়িয়ে দেয়। এখনও পর্যন্ত এইডস প্রতিরোধে বাজারে দুটি ওষুধ চালু আছে। একটি হল এফ/টিডিএফ, অন্যটি এফ/টিএএফ। এর মধ্যে ১৬ থেকে ২৫ বছর বয়সি তরুণীরা দীর্ঘদিন ধরে এই রোগ আটকাতে এফ/টিডিএফ ট্যাবলেট রোজ খেয়ে থাকেন। অন্যদিকে এফ/টিএএফ তুলনামূলকভাবে নতুন ওষুধ। ব্যবহার করেন পুরুষ এবং রপান্তকারীরা।
আরও পড়ুন- ঊষা উত্থুপের স্বামীর প্রয়াণে শোকপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর
এবার ইনজেকশন। অ্যান্টিভাইরাল ইঞ্জেকশন লিনাক্যাপাভির। উগান্ডা এবং দক্ষিণ আফ্রিকা বিভিন্ন প্রান্তে গবেষণা করা হয়েছে। উদ্দেশ্য ছিল, এইচআইভি’র প্রচলিত প্রতিরোধক ওষুধ বেশি কার্যকর নাকি লিনাক্যাপাভির। লিন্ডা গেইল বেক্কারের বিজ্ঞানীদের দাবি, মহিলারা বছরে দু’বার করে এই ইঞ্জেকশন নিলে পুরোপুরি প্রতিরোধ করা যাচ্ছে এই রোগ। তবে ত্বকের নীচে নিতে হয় এই ইঞ্জেকশন। পাঁচ হাজার সমীক্ষককে নিয়ে এই গবেষণা করা হয়। উগান্ডার তিনটি এবং দক্ষিণ আফ্রিকার ২৫টি জায়গায় রিসার্চ চলে। চিকিৎসা ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
যাঁদের ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়েছে, তাঁদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। ওষুধটি কতটা কার্যকর হচ্ছে সে দিকে নজর রাখছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-ও। মানুষের শরীরে লিনাক্যাপাভির যদি সফল হয় এবং এর কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা না যায়, তা হলে বিশ্বজুড়েই ওষুধটিকে অনুমোদন দেওয়া হতে পারে বলে জানানো হয়েছে। এর আগে এইডস রুখতে যে প্রতিষেধকগুলি তৈরি করা হয়েছিল, তাদের বেশির ভাগেরই কার্যকারিতা এক মাসের বেশি স্থায়ী হয়নি। তবে এই নতুন ওষুধ কতটা কার্যকর হতে পারে, তা দেখার।