প্রতিবেদন: তালাকপ্রাপ্ত মুসলিম মহিলা ফৌজদারি কার্যবিধির ১২৫ ধারার অধীনে তাঁর স্বামীর কাছ থেকে ভরণপোষণ চাওয়ার অধিকারী। বুধবার এই রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি বি ভি নাগারত্না এবং বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ মাসিহের বেঞ্চ মুসলিম মহিলার অধিকারকে বহাল রেখে দুটি পৃথক রায় দেয়। যদিও দুটি রায়ের মূল নির্দেশ মূলত একই। রায়ে বলা হয়েছে যে, মুসলিম মহিলা (তালাকের অধিকার সুরক্ষা) আইন, ১৯৮৬, ধর্মনিরপেক্ষ আইনের উপর প্রাধান্য পাবে না। অর্থাৎ, এ ব্যাপারে দেশে যে খোরপোশ আইন চালু রয়েছে, তা সমস্ত ধর্মের মহিলাদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য বলে জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। সম্প্রতি তেলেঙ্গানা হাইকোর্ট আবেদনকারী মহম্মদ আবদুস সামসাদকে তাঁর প্রাক্তন স্ত্রীকে ভরণপোষণের জন্য মাসে ১০ হাজার টাকা দেওয়ার নির্দেশ দেয়।
আরও পড়ুন-মাত্র ২ ঘণ্টায় ৭ লক্ষ কোটি টাকার ধস নামল শেয়ার বাজারে
সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তিনি সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন। বুধবার সামসাদের সেই আর্জি খারিজ করে দিল শীর্ষ আদালত। বিচারপতি নাগারত্না রায় ঘোষণার সময় বলেন, আমরা ফৌজদারি আপিল খারিজ করে দিচ্ছি, ফৌজদারি কার্যবিধির ধারা ১২৫ অনুযায়ী শুধুমাত্র বিবাহিত মহিলা নয়, সমস্ত মহিলার জন্য খোরপোশ প্রযোজ্য হবে। বেঞ্চ তাদের পর্যবেক্ষণে বলেছে, খোরপোশকে যদি স্বামীরা তাঁদের স্ত্রীর প্রতি দাক্ষিণ্য বা খয়রাতি ভাবেন, তবে ভুল করবেন। এটা যে কোনও বিবাহিত মহিলার অধিকার। ধর্ম নির্বিশেষে সমস্ত মহিলাই এই অধিকার পাওয়ার যোগ্য। আদালত আরও বলেছে যে যদি ফৌজদারি কার্যবিধির ১২৫ ধারার অধীনে করা আবেদন মুলতুবি থাকাকালীন সংশ্লিষ্ট মুসলিম মহিলার বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যায়, তবে তিনি মুসলিম মহিলা (বিবাহের অধিকার সুরক্ষা) আইন, ২০১৯-এর আশ্রয় নিতে পারেন। ২০১৯-এর আইনটি, ফৌজদারি কার্যবিধির ধারা ১২৫-এর ধারায় দেওয়া প্রতিকারের পরিপূরক।