ছেলের স্বেচ্ছামৃত্যু আবেদন করলেন অসহায় মা-বাবা। এগারো বছরের বেশি সময় ধরে শয্যাশায়ী পুত্র। মোহালির চণ্ডিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করছিলেন হরিশ। ২০১৩ সালে কলেজের চার তলা থেকে পড়ে যান তিনি। প্রাণে বেঁচে গেলেও শরীরের প্রায় সমস্ত অঙ্গ অকেজো। মাথার আঘাত ছিল গুরুতর। তারপর থেকেই আক্রান্ত স্নায়ুর রোগে। তার শরীর পক্ষাঘাতগ্রস্ত।
আরও পড়ুন-অন্ধ্রে ৮ বছরের শিশুকে গণ.ধর্ষণ করে খু.ন
এদিকে বৃদ্ধ বাবা-মা সংসার চালাবেন কীভাবে তাঁর চিকিৎসা করবেন কীভাবে সেই ভেবে ভেবে দিন যাচ্ছে তাঁদের। ৬২ বছর বয়সি বাবা এখন মাত্র সাড়ে তিন হাজার টাকা পেনশন পান। সংসার চালাতে স্ত্রীর সাহায্যে স্যান্ডউইচ তৈরি করে বিক্রি করেন। হরিশের ভাই অল্প বেতনে চাকরি করে। বহু দিন ধরেই ছেলের অসহনীয় যন্ত্রণা বাড়তে দেখা, আর্থিক অনটন এবং মানসিক চাপে বিধ্বস্ত হরিশের বাবা-মা। শেষ পর্যন্ত দিল্লি হাই কোর্টে (Delhi High Court) ছেলের ইচ্ছামৃত্যুর আর্জি জানান বৃদ্ধ রানা এবং তাঁর স্ত্রী নির্মলা দেবী।
মেডিক্যাল বোর্ড বসিয়ে হরিশকে স্বেচ্ছামৃত্যু দেওয়া হোক এই আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু গত ৮ জুলাই আদালত তা খারিজ করে দিয়েছে। একইসঙ্গে আদালত (Delhi High Court) জানিয়ে দেয়, এদেশের আইন স্বেচ্ছামৃত্যুর (প্যাসিভ ইউথানাসিয়া) অনুমতি দেয় না।