প্রতিবেদন : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) মুম্বই সফরের মাঝেই আজ, শুক্রবার মুখোমুখি হচ্ছেন এনসিপি নেতা শারদ পাওয়ার ও শিবসেনাপ্রধান উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে। আজ বিকেল ৪টের পর এই দু’জনের সঙ্গে তাঁর বৈঠক হবে। দেখা হতে পারে সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদবের সঙ্গেও। মুম্বই রওনা হওয়ার আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে কলকাতা বিমানবন্দরে নিজেই একথা জানিয়েছেন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার বিকেলে মুম্বই পৌঁছনোর পরই মুকেশ আম্বানি হোটেলে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে আসেন। তাঁর পুত্রের বিয়ের রিসেপশনে যোগ দিতেই আম্বানির আমন্ত্রণে মুম্বই গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুকেশের তরফে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও তাঁকে অভিনন্দন জানান তাঁর পুত্র অনন্ত আম্বানির নতুন জীবন শুরুর জন্য। বেশ কিছুক্ষণ তাঁদের মধ্যে আলাপচারিতা চলে। আজ আম্বানি পুত্রের রিসেপশনে উপস্থিত থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata Banerjee)।
বৃহস্পতিবার দুপুরে মুম্বই রওনা হওয়ার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিজেপি ও তার তল্পিবাহক মিডিয়ার একাংশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন নেত্রী। চার কেন্দ্রে উপনির্বাচনের আগে পুরনো ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করে তৃণমূলকে চাপে ফেলার জন্য ও বদনাম করার জন্যই এই সময়টা বেছে নেওয়া হয়েছে বলে ক্ষোভ উগরে দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, বিজেপির কথায় কয়েকটি টিভি চ্যানেল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে প্ররোচনামূলক খবর দেখিয়ে গিয়েছে গত ৭২ ঘণ্টা ধরে। একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের নাম করে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি। বলেন, এসব খবর না দেখালেই তো ইনকাম ট্যাক্স রেইড হবে। তাঁর সংযোজন, এম স্কোয়ার আছে। একজন মালব্য আছে। এর বেশি কিছু বলতে চাই না। আরও দু-একটি চ্যানেলেও একই কাজ করেছে তাদের নাম মুখে আনতে চাই না। এরা সব মোদি মিডিয়া হয়ে গিয়েছে।
আড়িয়াদহের ঘটনা নিয়ে সংবাদমাধ্যমের একাংশকে তোপ দেগে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ওই ঘটনা ২০২১ সালের। তখন ওখানে সাংসদ ছিলেন অর্জুন সিং। যারা ওই ঘটনা ঘটিয়েছে তারা এখন জেলে। ২৯ জন গ্রেফতার। চোখ নেই, কান নেই দেখতে পান না। পুলিশের কাছ থেকে তথ্য জানুন। আবেদন জানাচ্ছি। কাজ না হলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সাফ কথা মুখ্যমন্ত্রীর। তাঁর অভিযোগ, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে উপনির্বাচনে তৃণমূলকে কোণঠাসা করতে পুরনো ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু পুলিশের পদক্ষেপের কথা আলোচনা হচ্ছে না। আড়িয়াদহের ঘটনায় ইতিমধ্যেই জেলে বন্দি জয়ন্ত। তৃণমূল সভানেত্রী বলেন, উপনির্বাচনে একটা বুথে কী হয়েছে, সেটাকে বড় করে দেখানো হচ্ছে। বাকি জায়গায় শান্তিপূর্ণভাবে যে মানুষ ভোট দিয়েছেন, তা দেখানো হচ্ছে না।
আরও পড়ুন-দুষ্কৃতীদের ছাড় নয়, কড়া হাতে দমন করছে প্রশাসন
বাঁকুড়ার ঘটনার প্রসঙ্গ তুলেও মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রানিবাঁধের একটা ঘটনা নিয়ে বিজেপি ময়দানে নেমেছে। আমি খোঁজ নিয়ে দেখলাম, ওখানে যা ঘটেছে তা পুরোটাই পারিবারিক বিবাদের কারণে। পুলিশ ব্যবস্থাও নিয়েছে। এসব তো আর কেউ দেখাবে না। লোকসভা নির্বাচনের আগেও বিজেপির সঙ্গে তাল মিলিয়ে একশ্রেণির সংবাদমাধ্যম লাগাতার তৃণমূলের বিরুদ্ধে কুৎসা করে গিয়েছে। তাতেও দমানো যায়নি দলকে। উল্টে বিজেপির আসন কমেছে। এবার উপনির্বাচনকে সামনে রেখেও তৃণমূলকে ড্যামেজ করতে আদা-জল খেয়ে মাঠে নামলেও বাংলার মানুষের ভরসা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তাঁর সরকার এবং তৃণমূল কংগ্রেসের উপর। তাই এসব করে কোনও লাভ হবে না স্পষ্ট কথা তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের।