অনন্ত গুছাইত, নয়াদিল্লি : শীর্ষ আদালতে ধাক্কা খেল ত্রিপুরা সরকার। ত্রিপুরার সাম্প্রতিক হিংসার ঘটনা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার দায়ে ইউএপিএ মামালায় আইনজীবী ও সাংবাদিককে এখনই গ্রেফতার করা যাবে না। বুধবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এনভি রামান্নার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এই নির্দেশ দেয়। শীর্ষ আদালতের নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে নিশ্চিতভাবেই ধাক্কা খেল ত্রিপুরার বিজেপি সরকারের অতি-সক্রিয়তা। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচুড় এবং বিচারপতি সূর্যকান্তের বেঞ্চ একইসঙ্গে ত্রিপুরা সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকারকে নোটিশ জারি করেছে যে, আবেদনকারীদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলা বাতিল করার পাশাপাশি ইউএপিএ বা বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইনের নির্দিষ্ট ধারার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়ে ওকালতনামা দাখিল করতে হবে। আদালত নির্দেশ দিয়েছে, আবেদনকারীদের বিরুদ্ধে কোনওরকম জবরদস্তি মূলক ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না।
আরও পড়ুন : Goa : তৃণমূলই প্রকৃত বিকল্প, গোয়ায় কংগ্রেস ছেড়ে যোগদান লোবোর
প্রসঙ্গত ত্রিপুরার বিপ্লব দেব সরকারের পুলিশ সাংবাদিক শ্যাম মীরা সিং, আইনজীবী আনসার ইন্দোরি, আইনজীবী মুকেশ, আইনজীবী অমিত শ্রীবাস্তব এবং আইজীবী এহতেশাম হাসমির বিরুদ্ধে ইউএপিএর ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধের মামলা দায়ের করেছিল। ত্রিপুরার সাম্প্রদায়িক হিংসার সঙ্গে তাঁদের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের সম্পর্ক দেখিয়ে ইউএপিএ ধারায় আইনজীবী ও সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা করে বিজেপির পুলিশ। এরপরই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা তাঁদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া এফআইআর বাতিলের দাবি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যান। ইউএপিএর ২(১)(০) ধারা, যা বেআইনি কার্যকলাপ সংজ্ঞায়িত করে। তা চ্যালেঞ্জ করে নিজেদের বক্তব্য পেশ করেন আবেদনকারীরা। আদালতে আইনজীবী ও সাংবাদিকের পক্ষে সওয়াল করেন প্রশান্ত ভূষণ।