বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী, আলিপুরদুয়ার : কেউ টোটো চালান। কেউ-বা সামান্য সবজির দোকান করে সংসারের জোয়াল টেনে চলেছেন বছরভর। কারও আবার দিনমজুরিই একমাত্র উপার্জনের পথ। মাথার ওপর ছাদ বলতে রেলের জমিতে তৈরি-করা ঝুপড়ি। সবসময় মনে আতঙ্ক, এই বুঝি উচ্ছেদের খাঁড়া নেমে আসে তাঁদের জীবনে। এই সমস্ত মানুষের জন্যই মাথার ওপর ছাদের স্বপ্ন দেখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর দেখা স্বপ্নে, প্রথম পর্যায়ে স্বপ্নপূরণ হতে চলেছে আলিপুরদুয়ারের ১৬টি পরিবারের। বাংলার বাড়ি প্রকল্পে ঝাঁ-চকচকে ফ্ল্যাট পেতে চলেছে আলিপুরদুয়ারের ওই ১৬টি নিম্নবিত্ত পরিবার।
আরও পড়ুন : Goa : তৃণমূলই প্রকৃত বিকল্প, গোয়ায় কংগ্রেস ছেড়ে যোগদান লোবোর
দীর্ঘদিন ধরে রেলের জমিতে উদ্বাস্তুদের মতো জীবন কাটিয়ে রাজ্য সরকারের সহায়তায় তাঁরা কয়েক মাসের মধ্যেই বসবাস শুরু করতে পারবেন সরকারি ‘বাংলার বাড়ি’ নামে বহুতলে। উত্তরবঙ্গে এই প্রথম আলিপুরদুয়ারে বাংলার বাড়ি প্রকল্পে পাইলট প্রজেক্টের কাজ শুরু হচ্ছে আলিপুরদুয়ার শহরের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে। সেই প্রকল্পের কাজ শুরু করতে সুডার আধিকারিক ও পুরসভার প্রশাসক প্রসেনজিৎ কর মঙ্গলবার ওই এলাকা পরিদর্শন করেন। আলিপুরদুয়ার পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান প্রসেনজিৎ কর জানান, ১৬ জন বাসিন্দা মিলে ওই এলাকায় পাঁচ শতক জমি কিনে পুরসভাকে দিয়েছেন। ওখানে চারতলা বিল্ডিং হবে। ১৬টি ফ্ল্যাট নির্মাণ হবে। প্রত্যেককে একটি করে ফ্ল্যাট দেওয়া হবে। এ জন্য ১ কোটি টাকার বেশি খরচ হবে। ওই এলাকার মাটি পরীক্ষার কাজ আগামী পনেরো দিনে শেষ হয়ে গেলেই কাজ শুরু হবে।