প্রতিবেদন: সম্পূর্ণ ভুল ধারণা এবং গুজব। পুরীর রত্নভাণ্ডারের মধ্যে কোনও সাপ দেখা যায়নি। স্পষ্ট জানালেন, ওড়িশা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বনাথ রথ। ৪৬ বছর পরে রবিবার তাঁরই নেতৃত্বে রত্নভাণ্ডার খুলে ভিতরে প্রবেশ করেছিল ওড়িশার সরকারের তৈরি করে দেওয়া ১১ জনের একটি প্রতিনিধি দল। জানা গিয়েছে, চাবি না পেয়ে তালা ভাঙা হয় রত্নভাণ্ডারের ভিতরের কক্ষের প্রবেশদ্বারের। সর্তকতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে সঙ্গে নেওয়া হয় কয়েকজন সর্পবিশেষজ্ঞকেও।
আরও পড়ুন-পূজার পরে জাল নথিতে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ আরও এক আমলার বিরুদ্ধে
কিন্তু নাগরাজ বা সাধারণ সাপ, কিছুরই অস্তিত্বের প্রমাণ মেলেনি। তাই রত্নভাণ্ডার পাহারা দিচ্ছে নাগরাজ—এরকম কোনও ঘটনাই ঘটেনি। এসব সম্পুর্ণ মনগড়া গল্প এবং গুজব। বিচারপতি রথ জানিয়েছেন, জেলাশাসক এবং অন্যান্য আধিকারিকদের উপস্থিতিতে ভাঙা হয়েছে তালা। রত্নভাণ্ডারে যে দলটি প্রবেশ করেছিল তাতে মন্দির কমিটির ৭-৮ জন সদস্যও ছিলেন। বহুদা যাত্রার ব্যবস্থার কারণে আমরা ভাল করে খতিয়ে দেখার ও সব রত্ন সরানোর সময় পাইনি। বিগ্রহের অলঙ্কার ও রত্ন সরানোর জন্য অন্য একটি দিন স্থির করা হয়েছে। মন্দির প্রশাসন কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে আপাতত অলঙ্কার মন্দির চত্বরেই অস্থায়ী স্ট্রংরুমে রাখা হয়েছে। জেলাশাসকের উপস্থিতিতে সিলও করে দেওয়া হয়েছে।