প্রতিবেদন: জ্ঞানব্যাপীর পরে এবার মধ্যপ্রদেশের বিতর্কিত ভোজশালা চত্বরের মাটির তলায় প্রাপ্ত সম্পদের রিপোর্ট পেশ করল আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া বা এএসআই। সোমবার মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টে ‘বৈজ্ঞানিক সমীক্ষায়’ উঠে আসা রিপোর্ট পেশ করল ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ।
আরও পড়ুন-জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় গঠন করুন স্থায়ী কমিশন, প্রস্তাব দিলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি
২,০০০ পাতার ওই রিপোর্টে ভোজশালার মাটির নিচে দেবদেবীর মূর্তি ও মন্দিরের অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি করেছে হিন্দুত্ববাদীরা। এএসআই-এর তত্ত্বাবধানে রয়েছে মধ্যপ্রদেশের ধার শহরের প্রায় হাজার বছরের পুরনো কামাল মাওলানার দরগা ও মসজিদ। হিন্দুত্ববাদীদের দাবি, সৌধটি আসলে রাজা ভোজের তৈরি প্রাচীন সরস্বতী মন্দির। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, প্রতি মঙ্গলবার ভোজশালায় হিন্দুদের পুজো দিতে দেওয়া হয়। মুসলিমরা নমাজ পড়েন শুক্রবার। সপ্তাহের অন্যান্য দিন যে কেউ যেখানে ঢুকতে পারেন। তবে সেই দিনগুলিতে কাউকে পুজো দিতে বা নমাজ পড়তে দেওয়া হয় না। কিন্তু সেই সহাবস্থান পছন্দ নয় হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলির। ফলে ২০২২ সালে আদালতের দ্বারস্থ হয় তারা। চলতি বছরের ১ এপ্রিল ‘বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা’য় ছাড়পত্র দেওয়ার পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হৃষীকেশ রায় ও বিচারপতি পি কে মিশ্রের বেঞ্চ স্পষ্ট জানায়, ওই বিতর্কিত কাঠামোর ‘চরিত্র’ বদলের চেষ্টা বরদাস্ত করা হবে না।