প্রতিবেদন : মহাকাশের অজানা রহস্য নিয়ে মানুষের কৌতুহল আর বিস্ময় শেষ হওয়ার নয়। প্রতিদিন নতুন নতুন উদ্ভাবনে সৌরজগতকে আরও কাছ থেকে চেনার চেষ্টা করে চলেছেন মহাকাশ বিজ্ঞানীরা। এরমধ্যে অন্যতম আকর্ষণ চাঁদকে পৃথিবীর উপগ্রহ ঘিরে। তাই কখনও চন্দ্রযান, আবার কখনও রোবট পাঠিয়ে ভারত কিংবা আমেরিকা পৃথিবীর উপগ্রহের রহস্যভেদের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এবার আরেকটি বড় সাফল্য মিলল। চাঁদের মাটি থেকে অন্তত ১০০ মিটার গভীরে এই প্রথম গুহার সন্ধান পেলেন মহাকাশ বিজ্ঞানীরা। কৌতুহল, তাহলে কি চাঁদে মানুষের বসবাস সময়ের অপেক্ষা মাত্র?
আরও পড়ুন-মিথ্যে বয়ানের জন্য চাপ দিয়েছে পুলিশ, কোর্টে দাবি অভিযুক্তের
লুনার রিকনেইস্যান্স অরবিটার নামের একটি ব়্যাডার থেকে এই তথ্য জানিয়েছে নাসা। ‘নেচার অ্যাস্ট্রোনমি’ জার্নালে এই সংক্রান্ত একটি প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। তারপর থেকেই হইচই। নয়া আবিষ্কৃত চাঁদের গুহাটি ৪৫ মিটার চওড়া মুখের এবং ৮০ মিটার লম্বা। আয়তনে প্রায় ১৪টি টেনিস কোর্টের সমান। নাসার বিজ্ঞানীরা বলছেন, চাঁদের মাটির ১৫০ মিটার নীচ পর্যন্ত গভীর এই গুহা। অ্যাপোলো-১১ এর মহাকাশযানে করে নীল আমস্ট্রং চাঁদের ঠিক যেখানে নেমেছিলেন, সেখান থেকে ৪০০ কিলোমিটার দূরে এই গুহা বলেই জানা যাচ্ছে। লাভা উদগীরণের ফলে এই গুহা তৈরি হয়েছে বলে মত বিজ্ঞানীদের। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই ব্রিটিশ মহাকাশচারী হেলেন শারমান জানিয়েছেন, শুধু এই একটি নয়, একাধিক গুহা থাকতে পারে চাঁদে। এক্ষেত্রে আগামী ২০ বা ৩০ বছরের মধ্যে মানুষ সেখানে গিয়ে বসবাস করতে পারবে বলে আশাবাদী তিনি।