প্রতিবেদন : একশো দিনের কাজ, গ্রামীণ আবাস-সহ একাধিক কেন্দ্রীয় প্রকল্পে কেন্দ্রের বঞ্চনা অব্যাহত। এমত অবস্থায় গ্রামের দরিদ্র মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে বড়সড় পদক্ষেপ নিচ্ছে রাজ্য সরকার। গ্রামীণ পরিকাঠামো উন্নয়নে আগামী মাসের মধ্যে পঞ্চায়েতগুলিকে নিজের কোষাগার থেকে ৮০০ কোটি টাকা দিতে চলেছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের পঞ্চম অর্থ কমিশনের বরাদ্দ থেকে গ্রামীণ এলাকা উন্নয়ন খাতে অগাস্ট মাসের শুরুতেই এই টাকা দেওয়া হবে বলে ওই দফতর সূত্রে জানা গেছে। রাজ্যের প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদের কোষাগারে জমা পড়বে বরাদ্দ।
আরও পড়ুন-চাঁদের গভীরে মিলল গুহার খোঁজ
গ্রামাঞ্চলের পরিকাঠামো উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির কাজে ওই টাকা ব্যবহার করা হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের ১০০ দিনের কাজের বিকল্প কর্মশ্রী প্রকল্পের আওতায় কাজের সুযোগ বাড়াতেও এই টাকা ব্যবহার করা হবে। পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার জানিয়েছেন, একেবারেই রাজনৈতিক কারণে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যকে বঞ্চনা করে চলেছে। কিন্তু তার ফলে গ্রামাঞ্চলের উন্নয়ন যাতে ব্যাহত না হয় এবং গরিব খেটে খাওয়া মানুষ যাতে নিজেদের প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত না হন তা নিশ্চিত করতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
পঞ্চায়েত এবং পুর এলাকার উন্নয়নের জন্য পঞ্চম রাজ্য অর্থ কমিশনের টাকা দেয় রাজ্য। বছরে এর বাজেট ১৬০০ কোটি টাকা। যার অর্ধেক অগাস্ট মাসে ছাড়া হবে। টায়েড বা শর্তাধীন এবং আনটায়েড বা নিঃশর্ত দুই ভাগে দেওয়া হবে টাকা। আনটায়েড ফান্ড দিয়ে কী কাজ করতে হবে? গাইডলাইনে বলা হয়েছে, গ্রামে ইকো ট্যুরিজিম পার্ক, মডেল ভিলেজ এবং হোম স্টে তৈরি করতে হবে। সৌরবিদ্যুতের প্রচলন বাড়াতে হবে এবং ‘জল ধরো জল ভরো’ প্রকল্পও শুরু করতে হবে। এছাড়াও তৈরি করতে হবে ‘বায়ো ডায়ভার্সিটি পার্ক। গ্রামে সম্পদ তৈরির ক্ষেত্রেও দিতে হবে জোর। তার জন্য বাজার, দোকান, অনুষ্ঠান বাড়ি, পার্কিং লট ও ফেরিঘাটের উন্নতি ইত্যাদি কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কঠিন বর্জ্য নিষ্কাশণের পরিকাঠামো তৈরি করা যাবে এই অর্থে। আদিবাসী মানুষ ও তাদের এলাকা এবং নারী ও শিশুদের উন্নতির জন্য নিতে হবে বিভিন্ন পদক্ষেপ। স্থানীয় এলাকার চাহিদা অনুযায়ী আনটায়েড ফান্ড খরচ করা যাবে বলে গাইডলাইনে বলে দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে কোন পঞ্চায়েত কত টাকা পাবে, তা বিচার করার জন্য নতুন করে কিছু মাণদণ্ড নির্ধারণ করা হচ্ছে।