প্রতিবেদন: এলাকা সম্প্রসারণ নিয়ে প্রবল বিতর্ক ও চাপের মুখে সুর নরম করল বিএসএফ। তারা বলল, তদন্তের ক্ষমতা তাদের নেই। শুধু তল্লাশি বা বাজেয়াপ্ত করার ক্ষমতা আছে। তৃণমূল বলেছে, সীমান্তরক্ষা বিএসএফেরই দায়িত্ব। সেটা সুরক্ষিত থাকলে এবং অনুপ্রবেশ না হতে দিলেই তো হয়। তাহলে এলাকা বাড়ানোর কথা আসেই না।
রাজ্য বিধানসভায় বিএসএফের এক্তিয়ার বৃদ্ধির বিরোধিতায় বিল পাশ হওয়ার পরের দিনই বিষয়টি নিয়ে সাফাই দিতে এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে সীমান্তরক্ষী বাহিনী। বুধবার সকালে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিএসএফের এডিজি জানান, আইনে বিএসএফের ক্ষমতা খুবই সীমিত।
আরও পড়ুন : ত্রিপুরা জুড়ে তীব্র হচ্ছে বার্তা, বাম-কংগ্রেস সমর্থকদের ভোট এবার তৃণমূলকেই
রাজ্যের আইনশৃঙ্খলায় হস্তক্ষেপ করার কোনও অধিকার তাঁদের নেই। এমনকী তারা এফআইআর-ও করতে পারেন না। বিএসএফ কোনও তদন্তকারী সংস্থা নয়। তারা শুধুমাত্র তল্লাশি ও বাজেয়াপ্ত করতে পারে। তার বেশি ক্ষমতা নেই।
বাংলায় বিএসএফের এক্তিয়ার বৃদ্ধির বিরোধিতায় শাসকদলের সঙ্গে সহমত বাম-কংগ্রেস। এ বিষয়ে মঙ্গলবারই বিধানসভায় বিল পাশ হয়। রাজ্যে শুধুমাত্র বিজেপি এই এক্তিয়ার বৃদ্ধির স্বপক্ষে। কিন্তু এতে যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোয় ধ্বংস হবে বলে মনে করছে তৃণমূল। শাসকদলের এই মতকে সমর্থন করেছে বাম ও কংগ্রেস। এরপরেই বুধবার সকালে সাংবাদিক বৈঠক করে বিএসএফ জানাল, বাংলায় তাদের এক্তিয়ার বাড়িয়েছে কেন্দ্র। তারা বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। এতে বিএসএফের শুধু এক্তিয়ার বৃদ্ধি হয়েছে। ক্ষমতা আগের মতোই বহাল থাকবে। একইসঙ্গে বিএসএফের এডিজি জানান, বিএসএফের সঙ্গে রাজ্য পুলিশের সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ। তাদের সঙ্গে সমন্বয় রেখেই তাঁরা কাজ করতে চান।