প্রতিবেদন: ধুতি পরার ক্ষেত্রে রকমভেদ থাকতেই পারে। বাঙালির ধুতি পরার স্টাইল একরকম, দক্ষিণ ভারতে অন্যরকম। কিন্তু ধুতি ব্যাপারটাই নিবিড়ভাবে জড়িয়ে আছে ভারতীয় সংস্কৃতির সঙ্গে। সেই সংস্কৃতিকে শুধু অস্বীকার নয়, রীতিমতো অসম্মান করল একটি শপিং মল। বেঙ্গালুরুর শপিং মলে প্রবেশে বাধা দেওয়া হল বর্ষীয়ান কৃষককে। কী অপরাধ? তাঁর পরনে ছিল ধুতি। আধুনিক সমাজের এই ঘটনার কথা প্রকাশে আসতেই নিন্দার ঝড় সর্বত্র। মেট্রোপলিটন শহরে থেকেও মানুষের চিন্তাভাবনা যে কতটা নিম্নমুখী তার আরও এক প্রমাণ কর্নাটকের শপিং মলের ভাইরাল ভিডিও। বিষয়টির নিন্দা করে সমাজমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন মডেল-অভিনেত্রী গওহর খান। তবে নিন্দার ঝড় ওঠায় পদক্ষেপ করতে বাধ্য হল কর্নাটক সরকার। এক সপ্তাহের জন্য সেই শপিং মল বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার সন্ধ্যায়।
আরও পড়ুন-ডাক্তারি প্রবেশিকার কেন্দ্রভিত্তিক ফলপ্রকাশ শনিবারই
কৃষক ফকিরাপ্পা এবং তাঁর পুত্র বেঙ্গালুরুর মাগারি মেন রোডের একটি শপিং মলে যান। কিন্তু অভিযোগ, তাঁদের মূল গেটেই আটকে দেন নিরাপত্তারক্ষী। তাঁকে বলা হয় যেহেতু তিনি ধুতি পরে আছেন তাই এই পোশাকে মলে প্রবেশ করা যাবে না। শুধু তাই নয় ৬০ বছর বয়সী ওই কৃষককে ট্রাউজার পরে আসতে বলা হয়। অভিনেত্রী গওহর ঘটনাটির একটি ভিডিও তাঁর ইনস্টাগ্রামের স্টোরিতে ভাগ করে নিয়েছেন। তিনি বলেন, এই বিষয়ে মল কর্তৃপক্ষের উচিত পথ পদক্ষেপ নেওয়া। ভারতীয় সংস্কৃতি এবং পোশাক নিয়ে গর্ব করার কথাও বলেছেন অভিনেত্রী। ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই বুধবার কর্নাটকের একাধিক সমাজসেবী সংস্থা সংশ্লিষ্ট মলের সামনে লোকজন জড়ো করে বিক্ষোভ শুরু করে দেয়। বুধবার শপিং মল কর্তৃপক্ষ এবং মলের নিরাপত্তারক্ষীর বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১২৬(২) ধারায় মামলা রুজু করা হয়। পরে অবশ্য মলের কর্তারা ওই কৃষকের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন এবং তাঁকে একটি শাল উপহার দেন। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় নগরোন্নয়ন মন্ত্রী বৈরাথি সুরেশ জানান, বেঙ্গালুরু মহানগর পালিকার প্রাক্তন কমিশনারের সঙ্গে এই ঘটনা প্রসঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। আইন অনুযায়ী শপিং মলটিকে সাতদিনের জন্য বন্ধ করে দেওয়ার এক্তিয়ার রয়েছে সরকারের। তার পরই শপিং মল বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়।