দেবব্রত বাগ, ঝাড়গ্রাম: ঝাড়গ্রাম জেলার ঐতিহ্য বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে কয়েক বছরে। ঝাড়গ্রামকে জেলা হিসেবে ঘোষণা করার পর নানাভাবে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর প্রিয় এই জেলায় পর্যটন শিল্পের পরিধি বাড়ছে। বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র ঢেলে সাজছে। এক সময় পর্যটন শিল্পে পিছনের সারিতে চলে গিয়েছিল ঝাড়গ্রাম জেলা। ২০০৮ থেকে মাওবাদী আন্দোলন বেড়ে যাওয়ায় বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র দীর্ঘদিন বন্ধ পড়েছিল। অফ সিজনে তো বটেই, ভরা সিজনেও পর্যটকদের দেখা পাওয়া যেত না।
আরও পড়ুন-জেলায় আরও ১০টি নতুন মল
বিশেষ করে বেলপাহাড়ি হয়ে ওঠে মাওবাদী আন্দোলনের মূল কেন্দ্র। তবে এখন পরিস্থিতি বদলেছে। ফের পর্যটকের পছন্দের তালিকায় এই জেলার নাম উপরের সারিতে উঠে এসেছে। মুখ্যমন্ত্রী জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে এসে বারবার জঙ্গলমহলে পর্যটন বিকাশের নির্দেশ দিয়েছেন। সেইমতো প্রশাসন কাজও শুরু করেছে। ব্লকের সাপধরা গ্রাম পঞ্চায়েতের ধোবাধবিন এলাকায় নতুন ডেস্টিনেশন হয়ে উঠেছে পঞ্চবটি মাহাত সরোবর। ঝাড়গ্রাম থেকে চিলকিগড় যাওয়ার পথে এই সরোবরে পর্যটকদের জন্য বোটিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পিকনিক স্পটও তৈরি হচ্ছে। আগামী দিনে হোম স্টে-র ব্যবস্থাও হবে বলে জানা গিয়েছে। জঙ্গলমহল জুলজিক্যাল পার্ক ও চিল্কিগড় কনকদুর্গা মন্দিরে বোটিংয়ের ব্যবস্থা দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকায় এই সরোবরে বোটিং জনপ্রিয় হয়ে উঠবে বলে আশা উদ্যোক্তাদের। সামনেই পর্যটনের ভরা মরশুম। জেলার পর্যটন শিল্পের সুদিন আসছে। বর্তমানে বেসরকারি উদ্যোগে জেলায় ১০০-র বেশি হোম স্টে হয়েছে। ফলে এলাকার মানুষের কর্মসংস্থানও বাড়ছে।