তন্ত্রে বিশ্বাস ডেকে আনল ঘোর বিপদ। ওড়িশার (Orissa) বালানগির জেলাতে গত কয়েক বছর ধরে অসুস্থ ছিলেন এক তরুণী। বহু চিকিৎসককে দেখিয়েও কোনও উপকার হয়নি। অবশেষে এক তান্ত্রিকের কাছে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় পরিবারের সৌজন্যে। কিন্তু সেই তান্ত্রিক চিকিৎসার নামে তরুণীর মাথায় ১৮টি সূচ গেঁথে দেন বলেই অভিযোগ করেন মেয়েটির পরিবার। অভিযোগ পাওয়া মাত্রই পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে ।
আরও পড়ুন-উচ্চবর্ণের মত পোশাক পরায় মোদীরাজ্যে দলিত যুবককে বেধড়ক মারধর
জানা গিয়েছে, ১৯ বছরের এই তরুণী দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। অনেক জায়গায় চিকিৎসা করিয়েও মেয়েটির শরীর ভাল হচ্ছিল না। তাই পরিচিত কয়েকজনের পরামর্শে সন্তোষ রানা নামের ওই তান্ত্রিকের দ্বারস্থ হয় পরিবার। তাদের বিশ্বাস ও সরলতার সুযোগ নিয়েই তিনি ঝাড়ফুঁক এবং চিকিৎসার নামে ঘটিয়ে ফেললেন নৃশংস এক কাণ্ড। মেয়েটির বাবা অভিযোগে জানিয়েছে তান্ত্রিক তাঁদের মেয়েকে একটি ঘরে ঢুকিয়ে দরজা বন্ধ করে দেন। ঘণ্টাখানেক বাদে মেয়েটিকে তিনি যখন বের করেন তখন সে যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকেন। মেয়েটির বাবা দেখেন মেয়ের মাথায় সূচ গাঁথা রয়েছে। প্রায় আটটি সুচ মেয়ের মাথা থেকে তুলে ফেলে দেন তিনি। ক্রমশ তাঁর অবস্থার অবনতি হতে থাকে। দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সিটি স্ক্যানে দেখা যায় মাথার ভিতরে ১০টি সূচ গাঁথা রয়েছে। ঝাড়ফুঁকের সময় মেয়েটি অজ্ঞান হয়ে পড়েছিলেন। সেই সুযোগে তান্ত্রিক তাঁর মাথায় সুচ গেঁথে দেয়। মেয়েটি সেই সময় যন্ত্রনা বোধ না করলেও পরে প্রচন্ড ব্যাথা অনুভব করতে শুরু করেন। চিকিৎসা করিয়েই তান্ত্রিকের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন মেয়েটির বাবা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গোটা ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।