মণীশ কীর্তনীয়া: শনিবার সকালে এক্স হ্যান্ডেলে নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার মানুষকে ডাক দিয়েছিলেন একুশের শহিদ তর্পণে শামিল হওয়ার জন্য। আর বিকেলেই মঞ্চ পরিদর্শনে এসে বলে গেলেন একুশের সমাবেশ শুধু রাজনৈতিক সভা নয়। এটা বাংলা মাকে রক্ষার লড়াই। দেশকে রক্ষার লড়াই। সেইসঙ্গে জানিয়ে গেলেন, সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদবকে তিনি আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন-ক্যাম্পগুলিতে কর্মীদের জনস্রোত, দিনভর তদারকিতে টিম তৃণমূল
একুশের মঞ্চে থাকবেন তিনিও। নেত্রী বলেন, একুশে জুলাই সকল শহিদদের স্মরণ করব আমরা। সেইসঙ্গে বিভিন্ন গণ-আন্দোলনে যাঁরা শহিদ হয়েছেন, তাঁদেরও শ্রদ্ধা জানাই। এই দিনটি মা-মাটি-মানুষ দিবস হিসেবে পালন করি। নেত্রীর সংযোজন, আমরা কিছু আয়োজন করি না শুধুমাত্র মঞ্চ ছাড়া। যে যার নিজের মতো আয়োজন করেন। কত দূর-দূরান্ত থেকে কর্মীরা আসেন। তাঁদের সকলের প্রতি নেত্রীর বার্তা, সকলে সাবধানে আসবেন। বাস-গাড়ি আস্তে চালাবেন। ট্রেনেও আসবেন অনেকে। নেত্রীর কথায়, ১৫ দিন আগেই আমরা রেলকে জানিয়েছি। ওদের দায়িত্ব, রাশ ক্লিয়ার করা। আমি রেলমন্ত্রী ছিলাম আমি জানি। কর্মীদের প্রতি নেত্রীর বার্তা, ট্রেন থেকে মাথা বাইরে বের করবেন না। তিনি জানান, কিছু বুদ্ধিজীবীকেও আমন্ত্রণ জানিয়েছি, তাঁরাও থাকবেন। ১৯৯৩ সালের একুশে জুলাইয়ের ১৩ জন শহিদের কথা স্মরণ করিয়ে শনিবার সকালেই এক্স হ্যান্ডেলে নেত্রী লিখেছিলেন, ওই রক্তস্নাত দিনটিকে আমরা কোনওদিন ভুলিনি। ভুলবও না। তাঁর সংযোজন, একুশে জুলাই দিনটি বাংলার রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হয়ে গিয়েছে। এটা এখন বাংলার সংস্কৃতির সঙ্গে মিশে গিয়েছে। নির্বাচনে আমাদের যে গণতান্ত্রিক জয় এসেছে, তাকে মানুষের উদ্দেশে উৎসর্গ করি। সেজন্যও এই দিনটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। ধর্মতলায় এবারের শহিদ স্মরণ তথা মা-মাটি-মানুষ দিবস অনুষ্ঠানে আমি বাংলার সকল মানুষকে আমন্ত্রণ জানাই। আপনাদের সবার সাগ্রহ উপস্থিতিতে এবারের সমাবেশও অন্যান্যবারের মতো সাফল্যমণ্ডিত হবে, এই বিশ্বাস আমি রাখি। এই বিষয়ে তাঁর লেখা একটি কবিতাও পংক্তিও উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী— ২১শে জুলাই অশ্রু সজল রক্তে লেখা নাম/ শহিদ স্মরণে রইল মোদের হাজার হাজার সেলাম।
আজ রবিবার, একুশের মঞ্চ থেকে জাতীয় ও রাজ্যের জন্য যে বার্তা দেবেন নেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সেই বার্তা নিয়েই আগামিদিনে পথ চলবে তৃণমূল কংগ্রেস। একইসঙ্গে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষণের জন্য মুখিয়ে আছেন সকলেই।