সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলনে অগ্নিগর্ভ প্রতিবেশী বাংলাদেশ। গত তিন-চারদিন ধরে জারি কার্ফু, বন্ধ ইন্টারনেট, ট্রেন পরিষেবা। রাস্তায় টহল দিচ্ছে সাঁজোয়া গাড়ি, সেনা। ওপারের উত্তেজনা নিয়ে সতর্ক এপারও। ইতিমধ্যেই নবান্নের তরফে এই নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে সমন্য় রাখার জন্য রেসিডেন্সিয়াল কমিশনারকে নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন। সেই বিষয় নিয়ে রবিবার, ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকেও অবস্থান স্পষ্ট করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তিনি জানালেন, ”অসহায় মানুষ বাংলার দরজায় খটখট করলে দরজা খোলা আছে, এটুকু আশ্বাস দিতে পারি।” এক্ষেত্রে রাষ্ট্রসংঘের একটা নির্দেশের কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
এদিন একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে তিনি বাংলাদেশ নিয়ে কী বার্তা দেন, সেদিকে নজর ছিল অনেকের। বলতে উঠে একেবারে শেষে তৃণমূল সভানেত্রী (Mamata Banerjee) বলেন, ”এনিয়ে আমার বিশেষ কিছু বলার নেই, যা বলার ভারত সরকারই বলবে। কিন্তু অসহায় মানুষ বাংলার দরজায় খটখট করলে দরজা খোলা আছে, এটুকু আশ্বাস দিতে পারি।”
আরও পড়ুন-কর্মীদের কথা ভাবতে হবে: একুশের সভামঞ্চ থেকে জানালেন অভিষেক
অশান্ত বাংলাদেশে। ঢাকার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে দিল্লি। রবিবার বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট রায়ে জানিয়েছে, সংরক্ষণ ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে বাংলাদেশ নিয়ে বার্তা দেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ”বাংলাদেশ নিয়ে কিছু বলব না। ওটা আলাদা দেশ। যা বলবে ভারত সরকার বলবে। তবে আমি এটুকু বলতে পারি, যদি অসহায় মানুষ বাংলার দরজায় কড়া নাড়ে তাহলে আমরা নিশ্চিত ভাবে আশ্রয় দেব। রাষ্ট্রসংঘের একটা নির্দেশ আছে, কেউ যদি শরণার্থী হন, তাহলে তার পাশের এলাকাকে সেই বিষয়টা সম্মান জানাতে হবে।”
একই সঙ্গে তৃণমূল সভানেত্রী সতর্ক করে বলেন, ”তবে বাংলাদেশ নিয়ে কোনও প্ররোচনায় পা দেবেন না। আমরা যেন কোনও অশান্তি না করি। বাংলাদেশ নিয়ে আমরা যেন কোনও উত্তেজনায় না জড়াই। তবে তাদের প্রতি আমাদের সহমর্মিতা রয়েছে।”