অনুরাধা রায়: ধমর্তলার সভাস্থলে তখন কাতারে কাতারে মানুষ। এককথায় জনসুনামি। কেউ বাসে, কেউ ট্রেনে, কেউ বা এসেছেন পায়ে হেঁটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানাতে। তাঁর বার্তা সামনে থেকে শুনতে। ২১-এর মঞ্চের একেবারে সামনে চোখ আটকাল। বসে রয়েছেন দুই মহিলা। এসেছেন নদিয়া থেকে। তাঁদের মধ্যে একজনের নাম সাকিনা। কখন এসেছেন? প্রশ্ন করতেই উত্তর দিলেন, শনিবার রাতে। সারারাত তাঁরা এভাবেই বসে রয়েছেন। বৃষ্টি পড়লে খুলে নিয়েছেন ছাতা। প্রতিবার আসেন? বললেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভালবাসি। তাঁকে দেখতে, তাঁর বার্তা সামনে থেকে শুনতে, মঞ্চের সামনের জায়গাটা পেতেই সারা রাত এখানেই বসে থাকি। একইভাবে কারওর হাতে তৃণমূলের প্রতীক জোড়া ফুলের কাট আউট। কেউ মাথায় পরেছেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার লেখা টুপি।
আরও পড়ুন-দেড়শো প্রাণের বিনিময়ে কোটা-সংস্কার বাংলাদেশে
একদল মহিলা রাস্তা ধরে হেঁটে চলেছেন রাজ্যের উন্নয়নের প্রকল্প আঁকা শাড়ি পরে। শিয়ালদহ স্টেশনে এক মহিলাকে দেখে থমকে গেলেন সকলেই। মিডিয়ার ক্যামেরা থেকে সাধারণ মানুষ সবার নজর তখন তাঁর দিকে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তিনি ধন্যবাদ জানাতে এসেছেন একেবারে মুখ্যমন্ত্রীর মতোই পোশাকে। সাদা শাড়ি, চোখে কালো ফ্রেমের চশমা। দেখা গেল আর এক অভিনব চিত্র। ২০২৫-এ দিঘায় হবে রথযাত্রা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে দিঘায় তৈরি হয়েছে নতুন জগন্নাথধাম। জগন্নাথদেবের মূর্তি হাতে মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাতে দিঘা থেকে হাজির ছিলেন একদল সমর্থক। এভাবেই রবিবার কখনও রোদ, কখনও বৃষ্টি মাথায় নিয়েই কর্মী-সমর্থক-সহ সাধারণ মানুষ হাজির হন ধর্মতলার শহিদ সমাবেশে। রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে তাঁরা এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের টানে। লক্ষ লক্ষ মানুষের আবেগ, ভালবাসা, মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি শ্রদ্ধা কলকাতার প্রতিটি কোনায় রবিবার ধরা দিল এভাবেই। মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যয়ের বক্তৃতা শুরু হতেই জয়ধ্বনি দিলেন উপস্থিত জনগণ। উন্নয়নের প্রতীক নিয়ে হাজির হওয়া মানুষই এদিন বুঝিয়ে দিয়ে গেলেন তাঁরা আছেন তৃণমূলের সঙ্গে, তৃণমূলের পাশে।