প্রতিবেদন : বাংলাদেশ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee) মন্তব্যকে বিকৃত করে মিথ্যাচার প্রদর্শন করছে বিজেপি। সেই মিথ্যাচারটা রবিশঙ্কর প্রসাদের মুখ থেকেও শোনা গেল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট করেই জানিয়ে দিয়েছেন, এটা সম্পূর্ণ বাংলাদেশের বিষয়। মানবিকতার খাতিরে তিনি আশ্রয় দেওয়ার কথা বলেছেন, বিজেপির মতো ধর্মের নামে আশ্রয়ের কথা বলেননি। সোমবার রাজ্যসভার প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ কুণাল ঘোষ বিজেপি নেতাকে একহাত নিয়ে তাঁদের মিথ্যাচারের জবাব দিয়েছেন।
আরও পড়ুন-প্যাকেটজাত মাংস খেয়ে গুরতর অসুস্থ ২৮, মৃত ২
তাঁর কথায়, বাংলাদেশের ঘটনা প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata Banerjee) স্পষ্ট করেই জানিয়েছেন, এটা আন্তর্জাতিক বিষয়, এটা ভারত সরকারের ব্যাপার, তিনি কিছু বলবেন না। কিন্তু এত বড় একটা ঘটনা ঘটছে, যদি কেউ বিপদে পড়ে— রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিয়ম-নীতি মেনে আশ্রয় দেওয়াটা একটা মানবিকতার ব্যাপার। এ-প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষ সাফ জানান, সীমান্তটা কিন্তু বিএসএফ দেখে। রাজ্য সরকার বা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাইলেই কিন্তু কাউকে রাজ্যে প্রবেশ করাতে পারে না। সীমান্তের দরজা খুলে দেওয়ার এক্তিয়ার বাংলার নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই কথা বলেননি। মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যকে বিকৃত করে মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে রবিশঙ্কর প্রসাদ এবং বিজেপির নেতারা। সীমান্তটা বিজেপির কেন্দ্রীয় সরকার দেখে। যদি সীমান্ত পেরিয়ে কেউ আসেন, তাহলে তো প্রথমেই পশ্চিমবঙ্গ। তাই পশ্চিমবঙ্গ মানবিকতার খাতিরে তাদের আশ্রয় দিতে প্রস্তুত। এটাই বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ আরও বলেন, রবিশঙ্কর প্রসাদ আবার বাংলাদেশের অশান্তির সঙ্গে সিএএ-এনআরসি সব কিছু জড়াচ্ছেন। ধর্মের ভিত্তিতে কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনও কথা বলেননি এবং তিনি তা বিশ্বাসও করেন না। বাংলাদেশে ছাত্র আন্দোলনের জেরে যে উত্তপ্ত পরিবেশ, সেই অবস্থায় ছাত্রছাত্রীদের ফিরিয়ে আনা বা বিপদে থাকা মানুষগুলোকে আশ্রয় দেওয়া একটা মানবিকতা। এটা রাষ্ট্রের ব্যাপার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানবিকতা ও কর্তব্যের বিষয়টিতে জোর দিয়েছেন। বিপদে পড়া মানুষকে আশ্রয় মানে কিন্তু বিজেপির মতো ধর্মের ভেদাভেদের ভিত্তিতে নয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা বলেছেন, তা সম্পূর্ণ বিকৃত করে অপপ্রচার করছে বিজেপি।