প্রতিবেদন : আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের আসর বসছে। ইতিমধ্যেই তার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে জোরকদমে। সোমবার সম্মেলনের প্রস্তুতি নিয়ে আরেক দফা বৈঠক করেন মুখ্যসচিব ভগবতী প্রসাদ গোপালিকা (BP Gopalika)। উপস্থিত ছিলেন সমস্ত দফতরের সচিব-সহ শীর্ষকর্তারা। বৈঠকে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা হয়। সেখানে ক্ষুদ্র কুটির শিল্প, পর্যটন, বস্ত্র-সহ বিভিন্ন দফতরের অধীন ক্ষেত্রগুলিকে এখন থেকে নিজেদের সম্ভাবনার দিকগুলিকে তুলে ধরে প্রস্তুতি চালানোর জন্য মুখ্যসচিব নির্দেশ দিয়েছেন। নির্বাচনের কারণে সম্মেলনের প্রস্তুতি ব্যাহত হওয়ায় চলতি বছরে আর বাণিজ্য সম্মেলনের আয়োজন করা হচ্ছে না। বদলে সেপ্টেম্বর মাসে দেশের বিভিন্ন রাজ্যের পাশাপাশি ভিন দেশে রাজ্যের বিনিয়োগ সম্ভাবনা তুলে ধরে প্রচার চালানো হবে। শিল্পের জন্য ডেস্টিনেশন বেঙ্গলের প্রচারে আরও জোর দেওয়া হবে। গত কয়েকবারের মতোই এবারও ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে প্রচারে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গত বছর বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে যেসব সংস্থার সঙ্গে চুক্তি হয়েছিল তাদের কাজের অগ্রগতি নিয়ে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রকে রিপোর্ট তৈরি করতে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বাংলার হস্তশিল্প দুবাই-সহ বিদেশের বাজারে ছড়িয়ে দিতে হবে। অনলাইনে প্রচার ও বিক্রিতে জোর দেওয়া হয়েছে।
নতুন শিল্প স্থাপনে উৎসাহ দিতে চালু হওয়া একাধিক ইনসেনটিভ প্রকল্পের সুবিধা থমকে গিয়েছে নির্বাচনী আচরণবিধির কারণে। আবার বহু ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, শিল্পোদ্যোগীদের তরফে ঋণের আবেদন করে বিনিয়োগ প্রকল্পের কাগজপত্র ব্যাঙ্কে জমা পড়ার পরেও ইনসেনটিভ স্কিম সংক্রান্ত অনুমোদন না মেলায় সমস্যা তৈরি হচ্ছে। ফলে এই ধরনের অনুমোদন দেওয়ার ক্ষেত্রে গতি আনার প্রয়োজন রয়েছে। এছাড়াও শিল্পপতিরা রাজ্যে যে বিনিয়োগ আনছেন, সেই বিষয় নিয়ে আরও প্রচারের প্রয়োজন আছে বলে মনে করা হচ্ছে। ফলে শিল্পের জন্য ডেস্টিনেশন বেঙ্গলের প্রচারে আরও জোর দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন- কানাড়া ব্যাঙ্কে রাখা ব্যাকআপ প্রশ্নপত্রের খোঁজ সুপ্রিম কোর্টের