মঙ্গলবার বিধানসভায় ৪ নব নির্বাচিত বিধায়কদের শপথবাক্য পাঠ করালেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময় বিধানসভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। তিনি জানিয়েছেন, “এটা জনতার দরবার, গনতন্ত্রের দরবার। বাংলার সমস্ত ভোট দাতাদের আমার কৃতজ্ঞতা জানাই। বিজেপি যে সারা দেশে সিংগেল মেজরিটি হতে পারে নি, যদি মিলিয়ে দেখেন পুরো ‘এনডিএ’ ৪৬ শতাংশ ভোট পেয়েছে। আর ‘ইন্ডিয়া’ জোট আমাদের ভোট মিলিয়ে পেয়েছে ৫১ শতাংশ। আজ মাননীয় অধ্যক্ষ এই বিধায়কদের যে শপথ পাঠ করিয়েছেন সেটা সর্ব সম্মতিক্রমে হয়েছে। যদি কারো আপত্তি করার বিষয় ছিলো তাহলে তারা বিধানসভায় উপস্থিত থেকে সেটা করতে পারতেন।”
এরপরই রাজ্যপালকে একহাত নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) জানান, “সংবাদ মাধ্যমে দেখেছি, মাননীয় রাজ্যপাল যেটা বলছেন (সায়ন্তিকা ও রেয়াতের শপথ নিয়ে), তাতে আমি অধ্যক্ষকে সম্পূর্ণ সমর্থন করি। রাজভবন তো সিলেকটেড, বিধানসভা তো ইলেকটেড। যারা আসল খুনী,ডাকাত, যারা নীট কেলেঙ্কারি করে তাদের পেনাল্টি হয় না। আর পেনাল্টি হয় কাদের না যারা সাধারণ মানুষের ভোট নিয়ে জয়ী হয়েছেন। আমি তো কখনও দেখিনি যে একজন সদস্যের শপথ। আমি বলবো লাইনে চলুন, বেলাইনে চলবেন না। আপনি কোনো রাজনৈতিক দলের প্রতি বায়াসড হতে পারেন না। আপনার বিরুদ্ধে পেনাল্টি কে দেবে ? পাঁচশো টাকা করে পেনাল্টি করেছেন। এটা তো ব্রিটিশ আইন একটা। কিন্তু কখনো কখনো কনভেনশন কে মান্যতা দিতে হয়। আপনার কি টাকার খুব প্রয়োজন আছে ? আপনার কি জলপানের জন্য টাকার প্রয়োজন ? বলতে পারেন, আমি ব্যবস্থা করে দেবো।”
আরও পড়ুন- কবে দেওয়া হবে উচ্চ মাধ্যমিকের প্রভিশনাল রেজিস্ট্রেশন? জানাল সংসদ
তাঁর আরও সংযোজন,”হেলাও নয়, ঢোড়াও নয়। নড়েও না, চড়েও না। আগেরবার ডেপুটি স্পিকার কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিলো। ডেপুটি স্পিকার তো বলতেই পারেন যে আমি আমার উর্ধ্বতন থাকার সময়ে এটা করতে পারি না। ডেপুটি স্পিকার সেটাই বলেছিলেন। আপনি একজনকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন, তিনি অধ্যক্ষের হাতে বিষয়টি ছেড়ে দেন। মন্ত্রীদের শপথ রাজভবনে হয়, কিন্তু বিধায়কদের শপথ সাধারণত বিধানসভা তেই হয়। এটাই রীতি। বিধানসভার যে রুলস রয়েছে, সেই রুলস অনুযায়ী মাননীয় অধ্যক্ষ সঠিক কাজই করেছেন। যারা নতুন জিতেছেন এটা তাদের প্রতি বঞ্চনা। ডিক্টেটরশীপ ফর্মুলা অ্যাপ্লাই করে এটা করা যায় না। মনে রাখবেন আমরা বিত্তবান হতে চাই না, আমরা আবেগবান হতে চাই, আমরা মানবিক হতে চাই।” মুখ্যমন্ত্রী অধ্যক্ষকে জানান, এই অনভিপ্রেত ঘটনার জন্য আমি অধ্যক্ষের কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি। এরপরই স্পিকার জানান, আমি মানি যে অধ্যক্ষের চেয়ার সমালোচনার উর্ধ্বে নয়।