প্রতিবেদন: এবার নামবদলের হাওয়া পৌঁছল রাষ্ট্রপতি ভবনেও। বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি ভবনের দুটি হলের নতুন নাম ঘোষণা করেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। ‘দরবার হল’ এবং ‘অশোক হল’-এর পরিবর্তিত নাম যথাক্রমে ‘গণতন্ত্র মণ্ডপ’ এবং ‘অশোক মণ্ডপ’। এই নামবদলের ব্যাখ্যাও দেওয়া হয়েছে রাষ্ট্রপতির সচিবালয় থেকে। বৃহস্পতিবার যে প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয় তাতে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে, ‘দরবার’ কথাটি মূলত ভারতীয় রাজাদের সময়ে ও ব্রিটিশ আমলে বিভিন্ন কোর্ট এবং মানুষজনের একত্রিত হয়ে অভাব-অভিযোগ জ্ঞাপনের জায়গা বোঝাত। ভারত স্বাধীন হওয়ার পর এবং গণতন্ত্র স্থাপনের পর তা গুরুত্ব হারায়।
আরও পড়ুন-সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশমতো নিট-ইউজির সংশোধিত ফলাফল প্রকাশ
অন্যদিকে গণতন্ত্র শব্দটি ভারতের ইতিহাসের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ভারতের সমাজব্যবস্থা গণতান্ত্রিক। সেইজন্যই গণতন্ত্র মণ্ডপ হিসাবে নামটি নির্বাচন করা হয়েছে বলে জানানো হয় সচিবালয়ের তরফে। পাশাপাশি আরও জানানো হয়, অশোক হল আদতে একটি বলরুম ছিল। ‘অশোক’ শব্দের অর্থ ‘যিনি সমস্ত শোক থেকে মুক্ত।’ আবার অশোক হিসাবে সম্রাট অশোককেও বলা হয়ে থাকে। ভারতের জাতীয় প্রতীক সারনাথের অশোকের সিংহ। এছাড়াও ভারতবর্ষের কৃষ্টি এবং সংস্কৃতিতে অশোকের নাম জড়িয়ে আছে। আবার অশোক গাছের তাৎপর্যও ভারতের মানুষদের কাছে অপরিসীম। দু’টি হলের নাম পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে ভেদাভেদের দীর্ঘ ইতিহাস মুছবে বলে মনে করছে রাষ্ট্রপতি ভবন।
প্রসঙ্গত, ১৯১১ সালে রাজা পঞ্চম জর্জ ব্রিটিশ ভারতের রাজধানী কলকাতা থেকে দিল্লিতে স্থানান্তরিত করা হবে বলে ঘোষণা করার পর রাষ্ট্রপতি ভবনের নির্মাণকাজ শুরু হয়। ১৯২৯ সালে এর নির্মাণকাজ শেষ হয়।