পুরভোটের আগে ত্রিপুরায় (Tripura) রক্তের হোলি খেলছে বিজেপি। পায়ের তলার মাটি সরছে বুঝতে পেরে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা- প্রার্থীদের ওপর প্রাণঘাতী হামলা চালাচ্ছে। বুধবার সন্ধ্যায় তেলিয়ামুড়ায় তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীদের সমর্থনে মিছিল করছিলেন দলের নেতা-কর্মীরা। এই সময় মিছিলে হামলা করে বিজেপির গুন্ডারা।
ইট-পাটকেল ছোঁড়া হয়। লাঠি,রড, বাঁশ নিয়ে হামলা চালানো হয়। হামলায় গুরুতর আহত হন তণমূল নেতা অনির্বাণ সরকার ও জহর দাস। এই দুজনকে গভীর রাতে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় রাতের বেলা অনির্বাণ সরকার ও জহর দাসকে যখন হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছে তখনও বিজেপির গুন্ডারা বাধা দেয়।
আরও পড়ুন-Bar Association: হাইকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন নির্বাচনে প্যানেল প্রকাশ হল তৃণমূল কংগ্রেস লিগ্যাল সেলের
তেলিয়ামুড়া দলের তিমির বরন ঘোষ, সৌম্যকান্তি মালাকার, পিন্টু দে কেও ব্যাপক মারধর করে বিজেপির গুন্ডারা। জহর দাসকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অনির্বাণ সরকারকে প্রথমে তেলিয়ামুড়ায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ত্রিপুরা পুলিশ সেখান থেকেই তাঁকে গ্রেফতার করে। তিমির বরন ঘোষকে জিবি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে সাংসদ সুস্মিতা দেব দলীয় সতীর্থ দেখতে হাসপাতালে যান। অনির্বান সরকার এই মূহুর্তে আইসিউতে রয়েছে। তাঁর শারীরিক অবস্থা উদ্বেগজনক।
আরও পড়ুন-BSF Issue: বি এস এফ এর খবরদারি বৃদ্ধি, রাজ্যের অধিকারে হস্তক্ষেপ
সাংসদ সুস্মিতা দেব জানান, ত্ণমূল কংগ্রেস প্রার্থীরা যাতে প্রচার করতে না পারে তার জন্যই ত্রিপুরা জুড়ে রক্তাক্ত হামলা চালাচ্ছে। বিজেপির গুন্ডারা হামলা চালালেও ওদের বিরুদ্ধে কোনও এফআইআর নিচ্ছে না পুলিশ। বরং আহত তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধেই এটেম টু মার্ডার এর কেস দিয়েছে পুলিশ। হামলাকারিদের একজনও গ্রেফতার হয়নি। তারা বুক ফুলিয়ে এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে।
আরও পড়ুন-Mamata Bandopadhyay: রাজ্যে চালু হতে চলেছে মৎস্যজীবী ক্রেডিট কার্ড, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
বুধবার রাতের পর বৃহস্পতিবারও বিজেপির হামলা অব্যাহত রইল। আগরতলা পুর নিগমের ১৫ নং ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী বিকাশ সরকার এর ওপর হামলা চালায় বিজেপির গুন্ডারা। গুরুতর আহত বিকাশকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর ঘাড়ে গলায় পিঠে ও পায়ে গভীর চোট রয়েছে। এক্ষেত্রেও পুলিশ নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে।