প্রতিবেদন: বৃষ্টিতে আবার বিপর্যস্ত মহারাষ্ট্র। লাল-সতর্কতা জারি করা হয়েছে রাজ্যজুড়ে। একটানা প্রবল বর্ষণে এবারে কার্যত জলের নীচে পুণের বহু এলাকা। বৃহস্পতিবার বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ৩ জন। সবমিলিয়ে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। এছাড়া থানের বারভি ড্যামে ডুবে মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। পুণেতে থমকে দাঁড়িয়েছে স্বাভাবিক জনজীবন। বাড়ি থেকে বাইরে বের হতে নিষেধ করেছে প্রশাসন।
আরও পড়ুন-দেশে ক্ষুদ্র-মাঝারি শিল্পে কর্মহীন ৩ লক্ষের বেশি, সংসদে স্বীকারোক্তি মন্ত্রীর
জলবন্দিদের উদ্ধারে হেলিকপ্টারে এয়ারলিফ্ট করা হচ্ছে। ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় এমনকী অফিস- কাছারিতে। উদ্ধারকাজে নেমেছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। নদীর জলে ডুবে গিয়েছে আস্ত একটা সেতু। আগামী ৪৮ ঘণ্টা বন্ধ রাখা হয়েছে সমস্ত পর্যটনকেন্দ্র। শুধু পুণে নয়, বৃষ্টিতে জনজীবন রীতিমতো বিঘ্নিত দেশের বাণিজ্য রাজধানী মুম্বইয়েরও। বিঘ্নিত ট্রেন চলাচল। ঘড়ি ধরে চলছে না বিমানের ওঠানামাও। বিশেষ সতর্ক থাকার বার্তা দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন বিমান সংস্থাগুলোকে। জলে ডুবে যাওয়ায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে আন্ধেরি সাবওয়ে। সিওন, চেম্বুর, কুরলা এবং থানেরও বহুজায়গা জলমগ্ন। সবচেয়ে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি পুণের। বুধবার শেষরাত থেকেই একটানা মুষলধারে বৃষ্টিতে নাকাল পুণের মানুষ। হাজার হাজার মানুষ জলবন্দি। কোথাও হাঁটু পর্যন্ত, কোথাও কোমর ডুবে যাওয়া জল। জল ঢুকেছে বহু বাড়িতেও। ইতিমধ্যেই উদ্ধারকাজ শুরু করেছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।
পুলিশসূত্রে জানা গিয়েছে, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যে ৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন, তাঁরা প্রত্যেকেই খাবার-বিক্রেতা।
পাশাপাশি ঠেলাগাড়িতে খাবার বিক্রি করতেন তাঁরা। জলমগ্ন রাস্তা থেকে ঠেলাগাড়ি উদ্ধারের সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন তিনজনে।
আরও পড়ুন-বৃষ্টিতে বিধ্বস্ত পুণে-মুম্বই, মৃত্যু ৬, লাল সতর্কতা, জলবন্দিদের উদ্ধারে এয়ারলিফ্ট
প্রশাসনসূত্রে খবর, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর তিনটি দল একতা নগর, ভার্জে, সিনগড় এলাকায় স্থানীয়দের উদ্ধার করতে শুরু করেছে। মুথা নদীর জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় জলের তলায় একটি ব্রিজ। আগামী ৪৮ ঘণ্টা পুণের সমস্ত পর্যটনস্থল বন্ধ রাখার ঘোষণা করা হয়েছে প্রশাসন। অন্যদিকে মুম্বইয়ের জল সরবরাহের দুটি উৎস বিহার লেক এবং মোদক সাগর লেকও প্লাবিত।
দিল্লিতেও প্রবল বৃষ্টি
টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে দিল্লি, গুরগাঁও এবং লাগোয়া এলাকাও। ব্যাঘাত ঘটেছে স্বাভাবিক জনজীবনে। বহু রাস্তা জলমগ্ন থাকায় গতি হারিয়েছে যানবাহন।
হিমাচলে হড়পা বান
মেঘভাঙা বৃষ্টিতে বানভাসি হিমাচল প্রদেশের একাংশ। মানালিতে লে-মানালি রোড ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত। বৃহস্পতিবার হড়পা বানের তোড়ে ভেসে গিয়েছে রাস্তাঘাট। কুলুতে ৩ নম্বর জাতীয় সড়কে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে যান চলাচল। মাণ্ডি, কিন্নৌর এবং কাংরার মোট ১৫টি রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে আগেই।