প্রতিবেদন : ট্রেনি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের কুকথার জন্য বৃহস্পতিবার সংসদে ক্ষমা চাইল বিজেপি। আজ বৃস্পতিবার অধিবেশনের শুরুতেই সংসদ-বিষয়ক মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু বলেন, যে মন্তব্য করা হয়েছে তাতে সংসদের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হয়েছে। এই ধরনের মন্তব্য কাঙ্ক্ষিত নয়। এর জন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করছি। কোনও সাংসদ এই ধরনের মন্তব্য করে থাকলে অধ্যক্ষের হাতে ক্ষমতা আছে তাঁর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার। যদিও রিজিজু ট্রেনি সাংসদের নাম করেননি। স্বভাব-উদ্ধত অভিজিৎ এখন আর বিচারপতি নেই। কিন্তু তাঁর এজলাসে বসে যে ধরনের কুমন্তব্য ও স্বেচ্ছাচারিতা চালাতেন, যা খুশি তাই বলতেন— সংসদে গিয়েও সেটাকে নিজের এজলাস ভেবে নিয়েছিলেন এই ট্রেনি সাংসদ। তাই তালজ্ঞান হারিয়ে কংগ্রেস সাংসদ তরুণ গগৈকে স্টুপিড বলেছেন বুধবার।
আরও পড়ুন-কেন্দ্রের নয়া বিভ্রান্তির জাল, বঞ্চিতই রইলেন অগ্নিবীররা
এই প্রথম সংসদে পা দিয়েই কুকথা বলায় বিজেপির অন্দরেই ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সংসদে কার্যত নাককাটা গিয়েছে তাদের। এই ধরনের ঘটনা যাতে ভবিষ্যতে আর না ঘটে, সে-ব্যাপারে কড়া ভাবেই সতর্ক করেন স্পিকার ওম বিড়লা। বুধবার সাংসদ তথা প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় যখন বাজেট নিয়ে বক্তব্য রাখছিলেন, সেই সময় কংগ্রেস সাংসদ তথা লোকসভার উপ-দলনেতা গৌরব গগৈ মহাত্মা গান্ধীর হত্যাকারী নাথুরাম গডসের প্রসঙ্গ তোলেন। তাঁকে জবাব দিতে গিয়ে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, স্টুপিডের (নির্বোধ) মতো কথা বলবেন না। রিজিজু বলেন, আমি কাউকে বাঁচানোর চেষ্টা করব না। কে উসকানি দিয়েছে, সে-কথাও বলতে চাই না। তবে সংসদের মর্যাদা নষ্ট হওয়া উচিত নয়। স্পিকার বলেন, সংসদের মর্যাদা অক্ষুণ্ণ রেখে কথা বলতে হবে সাংসদদের। সবাইকে বলব, এমন শব্দ ব্যবহার করবেন না, যাতে মর্যাদায় আঘাত লাগে। সে বক্তব্যের মধ্যেই হোক বা আসনে বসেই হোক।