মাইক বন্ধ করে দেওয়ায় নীতি অয়োগের (Niti Aayog) বৈঠক বয়কট করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ক্ষোভ প্রকাশও করেছেন তিনি। এই নিয়ে প্রতিবাদ করেছেন বিরোধীরা। একইসঙ্গে প্রতিবাদ করেছে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারাও।
রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, “অ-বিজেপি সরকারের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে তাঁর বক্তব্য পুরোপুরি রাখতে দেওয়া হয়নি। মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। দিদি প্রতিবাদ করে বেরিয়ে এলেন। বাংলার যে ন্যায্য পাওনা, আবাস যোজনা-সহ কেন্দ্রের একাধিক প্রকল্প যেগুলি থেকে বাংলা বঞ্চিত। বাজেটেও কোন দিশা দেখায়নি। বাংলার সমস্ত কথা মুখ্যমন্ত্রী সেখানে বলতে গিয়েছিলেন। ভালো লাগেনি বলে নীতি আয়োগের বৈঠকে যারা ছিলেন তাঁরা মাইক বন্ধ করে দিয়েছিলেন। এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। রাজনৈতিক চশমা দিয়ে নয় প্রত্যেকটি রাজ্যকে উন্নয়নের চশমা দিয়ে দেখার কথা নীতি আয়োগের। সেখানে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যটা রাজনৈতিক চশমা দিয়ে দেখা হল। অ-বিজেপি সরকারের মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যটা অসম্পূর্ণ থেকে গেল।”
আরও পড়ুন- নির্লজ্জ, পক্ষপাতিত্ব বিজেপির, দেশ দেখল স্বৈরাচারের নয়া রূপ, ছিঃ বিজেপি
রাজ্যসভার সাংসদ ডাঃ শান্তনু সেন বলেন, “প্ল্যানিং কমিশন তুলে দিয়ে যে নীতি আয়োগ গঠন করা হয়েছে তা কীভাবে ভারতীয় জনতা পার্টির স্বার্থসিদ্ধি করার জন্য কাজ করে। আজ নীতি আয়োগের বৈঠকে সমস্ত ইন্ডিয়া শিবিরের পক্ষ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেখানে উপস্থিত ছিলেন। যখন তিনি বাংলার বঞ্চনার কথা বলা শুরু করেন, যখন তিনি বলেন কেন বাংলার ১ লক্ষ ৮০ হাজার কোটি টাকা আটকে রাখা হয়েছে তখন অন্যায়ভাবে মুখ্যমন্ত্রীর মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই অপমানের তীব্র প্রতিবাদ করছি। তিনি জানিয়েছেন তিনি কোনওদিন নীতি আয়োগের বৈঠকে যাবেন না। আরও একবার প্রমাণ হল বিজেপি কতটা বাংলা বিদ্বেষী, এবং গেরুয়া শিবির কীভাবে বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করতে চাইছেন।”
তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ জানান, “নীতি আয়োগের বৈঠকে কণ্ঠরোধ করা হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কণ্ঠরোধ করা হয়েছে দেশের বিরোধী শক্তির প্রতিনিধির। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুধু বাংলার প্রতি কেন্দ্রের বঞ্চনা নয় তিনি কেন্দ্রের জনবিরোধী নীতি এবং বঞ্চনা তুলে ধরতে গিয়েছিলেন। তারপর তাঁর মাইক অফ করে দেওয়া হয়। অত্যন্ত অপমানজনকভাবে কণ্ঠরোধ। যে সৌজন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেখিয়েছিলেন নীতি আয়োগের আমন্ত্রণ পত্র গ্রহণ করে তারা তাঁর উপযুক্ত নয়। যেখানে চন্দ্রবাবু নাইডু-সহ বাকি মুখ্যমন্ত্রীদের ২০ মিনিট ১৭ মিনিট করে বলতে দেওয়া হয়েছে সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ৫ মিনিট বলার পর মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তার প্রতিবাদ করেছেন তিনি। বিজেপি মিথ্যাচার করছে।”