রাখতে হবে মনের খবর

মা-বাবা ও সন্তানের সম্পর্ক সবচেয়ে মধুর এবং গভীর। তবে কোনও কোনও সময় দূরত্ব রচিত হয়। মা-বাবা বুঝতে পারেন না সন্তানের মনের ভাষা। সন্তানের সমস্যা যাতে সহজেই বোঝা যায়, তার জন্য দক্ষিণ কোরিয়ায় নেওয়া হয়েছে বিশেষ উদ্যোগ। এই উদ্যোগ অনুসরণযোগ্য। লিখলেন অংশুমান চক্রবর্তী

Must read

সুখের কারখানা
দক্ষিণ কোরিয়ায় তৈরি হয়েছে এক আশ্চর্য কারখানা। যার নাম সুখের কারখানা বা ‘হ্যাপিনেস ফ্যাক্টরি’। অর্থাৎ এখানে সুখ উৎপাদন এবং বণ্টনের ব্যবস্থা রয়েছে। যদিও তার জন্য রয়েছে কিছু শর্ত। এখানে থাকতে হলে কোনও ফোন বা ল্যাপটপ ব্যবহারের অনুমতি নেই। যাঁরা ভেতরে ঢোকেন, তাঁদের থাকতে হয় কয়েদিদের মতো নীল পোশাক পরে। ঘরগুলো কিন্তু প্রমাণ সাইজের নয়, একেবারেই ছোট।
কাদের জন্য চালু হয়েছে এই কারখানা, জানেন?
এই সুখের কারখানা চালু হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার অভিভাবদের জন্য।

আরও পড়ুন-চায়ে আমের স্বাদ, বাজার মাতাবে এবার ডুয়ার্সের ম্যাংগো টি

হিকিকোমোরি
এই কেন্দ্রগুলোতে যেসব অভিভাবকরা আসেন, তাঁদের সন্তানরা ‘হিকিকোমোরি’ নামে পরিচিত, যারা সমাজ থেকে নিজেদের গুটিয়ে নেয়। যাদের মনের খবর কেউ রাখে না। একটি জরিপে দেখা গিয়েছে, ১৯ থেকে ৩৪ বছর বয়সি ৫ শতাংশের বেশি তরুণ এই অবস্থার শিকার। সমাজবিচ্ছিন্ন সন্তানদের বাবা-মায়েরা একটি ১৩ সপ্তাহের শিক্ষামূলক কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন, যা কোরিয়া ইয়ুথ ফাউন্ডেশন ও ব্লু হোয়েল রিকভারি সেন্টার পরিচালনা করছে। এই কর্মসূচির লক্ষ্য সন্তানদের সঙ্গে ভালভাবে যোগাযোগের কৌশল শেখানো। নির্জন কক্ষে থাকার অভিজ্ঞতায় অভিভাবকেরা তাঁদের সন্তানদের মানসিক অবস্থা ও আবেগগুলো আরও ভালভাবে বুঝতে পারছেন। প্রশিক্ষণ শেষে একজন অভিভাবক সংবাদমাধ্যমের কাছে বলেন, তাঁর ছেলে তিন বছর নিজেকে গুটিয়ে রেখেছে। তিনি এই সুখের কারখানার নির্জন কক্ষে থাকার পর ছেলের মানসিক এবং সামাজিক অবস্থা ভালভাবে বুঝতে পেরেছেন।
সঠিক আচরণ
দক্ষিণ কোরিয়ার স্বাস্থ্য ও কল্যাণবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের গবেষণায় দেখা গেছে, সামাজিক সম্পর্কের সমস্যা, বেকারত্ব, পারিবারিক ও মানসিক দ্বন্দ্ব এবং স্বাস্থ্যগত সমস্যার কারণে তরুণরা নিজেদেরকে গুটিয়ে রাখছে। এই তরুণদের আত্মহত্যার হারও বেশি। এর পিছনে আছে বেশকিছু কারণ। সেইগুলো হল নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বড় ধরনের লক্ষ্য অর্জনের চাপ, দেশের অর্থনৈতিক স্থবিরতা এবং কর্মসংস্থানের সুযোগের স্বল্পতা। এইসব তরুণদের বাবা-মায়েরা সুখের কারখানায় এসে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। যাতে সন্তানের সঙ্গে তাঁরা সঠিক আচরণ করতে পারেন। বুঝতে পারেন মন। দক্ষিণ কোরিয়ার দেখানো পথ অনুসরণ করতে পারে পৃথিবীর অন্যান্য দেশগুলো। তাহলে হয়তো অভিভাবকরা উপলব্ধি করতে পারবেন সন্তানের সমস্যা।
মধুর এবং গভীর
আসলে, মা-বাবার সঙ্গে সন্তানের সম্পর্ক হল পৃথিবীতে সবচেয়ে মধুর এবং গভীর। জন্মসূত্রেই এই সম্পর্ক রচিত হয়ে থাকে। এখানে স্বার্থের কোনও জায়গা নেই। সন্তানের সঙ্গে বাবা-মায়ের সম্পর্ক হওয়া উচিত বন্ধু, সহমর্মী, সহযোগী এবং শিক্ষকের মতো। এককথায় বহুমুখী। সদ্যভূমিষ্ঠ শিশুকে সব সময় আগলে রেখে বড় করেন বাবা-মা। একটু বড় হলে আদরের শিশুটিকে জগৎ-সমাজ সম্পর্কে ধারণা দেন। এভাবেই বাবা-মায়ের সামনে ছোট্ট সন্তান একদিন বড় হয়ে যায়। বদলে যায় সময়, পরিস্থিতি। সেইসঙ্গে পরিবর্তন হয় এই সুন্দর সম্পর্কটিরও। তবে এই পরিবর্তন নেতিবাচকের চেয়ে ইতিবাচক হওয়াটাই বাঞ্চনীয়। যদি কোনও কারণে নেতিবাচক হয়ে যায়, সেইক্ষেত্রে এর পিছনের কারণগুলো খুঁজে বের করে, ইতিবাচক সমাধান করা প্রতিটি মা-বাবার দায়িত্ব।

আরও পড়ুন-গাজোলের ডাকাতিকাণ্ডে গ্রেফতার আরও ২ দুষ্কৃতী

মানসিক দূরত্ব
অনেক সময়ই মা-বাবা সন্তানের মনের ভাষা পড়তে পারেন না। এর প্রধান কারণ জেনারেশন গ্যাপ। প্রজন্ম অনুযায়ী মতামতে ভিন্নতা অর্থাৎ বয়সের ব্যবধানে মা-বাবার সঙ্গে সন্তানদের যে মানসিক দূরত্ব, তাকেই বলে জেনারেশন গ্যাপ। এই কারণে অনেক সন্তান মা-বাবাকে বন্ধু মনে করতে পারে না। বাবা-মা অভিজ্ঞতা থেকে উপদেশ দিলে, তা-ও মেনে নিতে চায় না। বাবা-মাও সন্তানদের অবুঝ মনে করে তাদের মতামতকে গুরুত্ব দেন না। এর ফলে চরম দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। সম্পর্ক যেমন থাকার কথা তেমন থাকে না। নেতিবাচক পরিবর্তন ঘটে।
প্রত্যাশা থেকে সমস্যা
সন্তানের কাছে বাবা-মায়ের অনেক প্রত্যাশা থাকে। সেই প্রত্যাশাগুলো সমাজ থেকে কিংবা বাবা-মায়ের অতীত জীবন থেকে আসে। যেমন, অন্যের সন্তানের সঙ্গে তুলনা করা, নিজের অসম্পূর্ণ স্বপ্ন সন্তানের উপর চাপিয়ে দেওয়া। আবার সন্তানও ব্যস্ত বাবা-মায়ের কাছ থেকে বেশি সময় পেতে চায়। কিংবা সমবয়সিদের সঙ্গে তুলনা করে তারা বিভিন্ন দাবি জানায়। বাবা-মা সেই দাবি পূরণ করতে না পারলে বা না চাইলে সন্তান কষ্ট পায়, রাগ বা অভিমান করে। এভাবে প্রত্যাশা সম্পর্কের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।
সন্দেহবাতিক মন
কিছু মা-বাবা মারাত্মক রকমের টক্সিক। মনোরোগী। প্রচণ্ড সন্দেহবাতিক। অন্যকে ছোট করে আনন্দ পান। এঁরা নেতিবাচক ব্যক্তিত্বের অধিকারী হয়ে থাকেন। সন্তানদের আগে নিজেদের চাহিদাকে প্রাধান্য দেন। ভয়, অপরাধবোধ এবং অপমানকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে তাঁরা সন্তানদের বড় করতে চান। টক্সিক বাবা-মা আত্মকেন্দ্রিক, আত্মমগ্ন এবং আবেগশূন্য হন। যে কারণে সন্তানদের প্রতিও তাদের সহানুভূতি তেমন কাজ করে না। এতে শুধু সম্পর্কের পরিবর্তন হয় তা নয়, সন্তানের জীবনেও একটি নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
এইসব কারণে মা-বাবার সঙ্গে সন্তানের সম্পর্ক খারাপ হয়ে যায়।

আরও পড়ুন-নির্লজ্জ, পক্ষপাতিত্ব বিজেপির, দেশ দেখল স্বৈরাচারের নয়া রূপ, ছিঃ বিজেপি

বুঝতে হবে সন্তানকে
পুরোটাই কিন্তু মনের সমস্যা। কেউ কেউ পরিস্থিতি সামাল দিতে মনোবিদের পরামর্শ নেন। এইটুকুই। এর বাইরে অন্য কোনও উদ্যোগ খুব বেশি নেওয়া হয় না। ঘটনা হল, প্রত্যেক মা-বাবার উচিত নিজেদের সন্তানকে বোঝা, তার সমস্যা বোঝা। সে কোন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, বোঝার চেষ্টা করা। দুর্ভাগ্যের বিষয় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সেটা করা হয় না। এর ফলে বেড়ে যায় সমস্যা।
তবে কিছু সাধারণ পদক্ষেপের মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করে ফেলা যায়। শুধু সম্পর্ক ঠিক করতেই নয়, ঠিক রাখতেও এই কাজগুলো অপরিহার্য। সেগুলো হল—
শিষ্টাচার
সুন্দর আচরণের কোনও তুলনাই হয় না। মনে রাখতে হবে, সুন্দর করে কথা বলা শিষ্টাচারের অংশ। সন্তানকে সুন্দর আচরণ দিয়ে বড় করে তুললে সন্তানও বড় হয়ে সুন্দর আচরণ করবে। হবে বড় মনের মানুষ।
নির্ভরযোগ্যতা
সহানুভূতিশীল হতে হলে পরস্পরের কথা শুনতে হবে। কথা শুধু শোনার জন্য নয়, বোঝার জন্যও শুনতে হবে। এর মাধ্যমে বাবা-মা ও সন্তানের মধ্যে তৈরি হবে নির্ভরযোগ্যতা।
অনুভূতির প্রকাশ
সব মা-বাবাই সন্তানকে ভালবাসেন। অনেক সময় কাজে প্রকাশ পেলেও, মুখে তা প্রকাশ পায় না। আবার অনেক সময় সন্তান ভয় বা লজ্জায় তার অনুভূতি প্রকাশ করতে চায় না। এখানেই ভুল হয়। যে-কোনও ধরনের অনুভূতি বাবা-মায়ের সন্তানের কাছে এবং সন্তানকে বাবা-মায়ের কাছে প্রকাশ করতে হবে। ভালবাসলে বলতে হবে, রাগ করলে বলতে হবে, কষ্ট পেলেও বলতে হবে। এতেই সম্পর্ক দৃঢ় হবে।
সময় দেওয়া
সময় দেওয়ার কোনও বিকল্প নেই। সম্পর্ক যতই দৃঢ় থাকুক না কেন, সময়ের অভাবে যখন তখন ফাটল ধরতে পারে। তাই শত ব্যস্ততার মধ্যেও সময় দেওয়া অপরিহার্য। একসঙ্গে খাবার খাওয়া, ঘুরতে যাওয়া, সুন্দর পরিবেশে বারান্দায় গল্প করতে বসা, বাড়িতে ফিরে খোঁজখবর নেওয়ার মাধ্যমে সহজেই সময় কাটানো যায়। দূরে থাকলেও প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখাতে হবে। ফোনে অথবা ভিডিও কলে।
কোন বয়সে কেমন সম্পর্ক
সময়ের সঙ্গে বাবা-মা এবং সন্তান উভয়ের বয়স বাড়ে। কোন বয়সে কেমন সম্পর্ক হওয়া উচিত এবং তার জন্য কী করতে হবে তা সন্তানের বয়সকে বিবেচনায় রেখেই নির্ধারণ করতে হয়।
সন্তানের ৫-১২ বছর বয়স বাবা-মায়ের সঙ্গে সম্পর্কের ভিত্তি গড়ার সময়। কারণ, সন্তান এই সময় বুঝতে শুরু করে এবং বাবা-মাকেই সবচেয়ে কাছের মনে করে। তাই তখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল সন্তানকে এটা বোঝানো যে, আপনি তার সবচেয়ে কাছের মানুষ। ভাল-মন্দ বোঝানোর সঙ্গে সুন্দর আচরণ করতে হবে, যা সন্তানকে আপনার প্রতি আস্থাভাজন করে তুলবে।
১২-১৮ বছর বয়সে শিশুর জীবনের উল্লেখযোগ্য পরির্তন হয়। প্রতিফলন দেখা যায় তার আচরণেও। বাবা-মায়ের সঙ্গে এই সময় সন্তানের সম্পর্ক নাজুক অবস্থায় থাকে। মা-বাবাকে কৌশলী হয়ে সময়টি পার করতে হবে। বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের পাশাপাশি সুপ্ত শাসন দরকার হবে। সন্তানের এই বয়সে মা-বাবাকে সবচেয়ে বেশি সময় দিতে হবে।

আরও পড়ুন-নজিরবিহীন নিরাপত্তায় গ্যাংস্টার সুবোধ সিংকে নিয়ে বারাকপুরে

১৮-২৫ বছর বয়সে ধীরে ধীরে সন্তান ব্যস্ত হতে শুরু করে। আর মা-বাবা তো বরাবরই ব্যস্ত। এই সময় সম্পর্ক ভাল থাকলেও দূরত্ব বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই উভয় পক্ষকেই পরস্পরকে সময় দেওয়ার জন্য সমান তৎপর হতে হবে।
২৫-৩৫ বছর বয়সে সন্তানের জীবনে আমূল পরিবর্তন আসে। এই বয়সে বাবা-মাকে ছেড়ে নতুন জীবন শুরু করতে হয়। বাবা-মা অনেক সময় এই পরিবর্তন মেনে নিতে পারেন না। সন্তান দেশ ছাড়ছে পড়াশোনা বা চাকরির জন্য। কিংবা নতুন পরিবার নিয়ে নতুন ঠিকানায়। এই সময় দরকার সহানুভূতিশীলতার সম্পর্ক। পরিস্থিতি যেমন হোক, ঘটা করে পরস্পরকে সময় দিলে সম্পর্কে জং ধরবে না। সন্তান দূরে থাকলে নিয়মিত ভিডিও কলে কথা বলতে পারেন। এতে সম্পর্কে কখনও ফাটল ধরবে না।
বাবা-মা এং সন্তানের সম্পর্ক যেমন হওয়া উচিত তেমন রাখলে বেগ পোহাতে হয় না। কারণ, সম্পর্কটা প্রাকৃতিকভাবেই সুন্দর। কিন্তু এমন একটি মূল্যবান সম্পর্ক ধরে রাখতে হলে, ঠিক রাখতে হলে একটু মনোযোগী এবং উদ্যমী হতে হবে। তাহলে পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর সম্পর্ক কোনওদিনও নষ্ট হবে না।

মন ভাল রাখার উপায়
উৎস খুঁজুন
অনেকের ধারণা মন খারাপ হল মানসিক রোগ। তা কিন্তু নয়। এটা সাধারণ আবেগ। নানা কারণে আমাদের মন খারাপ হতেই পারে। মন খারাপ থাকলে যেমন নিজের ভাল লাগে না, আশপাশের মানুষজনও তখন অস্বস্তিতে ভুগতে থাকেন। তাই শুরুতেই মন খারাপের উৎস খুঁজে বের করুন। বোঝার চেষ্টা করুন কী কারণে মন খারাপ। জীবনযাত্রায় নজর দিন। নিজেকে ভালবাসতে শিখুন। নিজের থেকে বেশি কেউ আপনাকে ভালবাসতে পারবে না। নিয়মিত ব্যায়াম করুন। স্বাস্থ্যকর ও সুস্বাদু খাবার খান। ফিটফাট পোশাক পরুন। নিজেকে আয়নায় সুন্দর দেখালে নিজে থেকেই একটি আত্মবিশ্বাস ফিরে পাবেন।
কথা বলুন
মন খারাপ থাকলে কোনওভাবেই পছন্দের মানুষকে এড়িয়ে চলবেন না। বরং তাঁর সঙ্গে বেশি বেশি সময় কাটান। ভুলেও বলবেন না ‘আমার মন খারাপ, একটু একা থাকতে চাই।’ সম্ভব হলে প্রিয় মানুষটির সঙ্গে দেখা করে কথা বলুন, তাঁর হাত স্পর্শ করুন। স্পর্শ আমাদের মন ভাল করে। দেখা করা সম্ভব না হলে অন্তত টেলিফোনে কিছুক্ষণ কথা বলুন। আপনার মন কেন খারাপ, কতটা খারাপ, মানুষটির সঙ্গে শেয়ার করুন। কথা বলার পর দেখবেন হালকা লাগছে, মন থেকে মেঘ সরে রোদ্দুর উঠতে শুরু করেছে।
গান শুনুন
সুরেলা গান শোনার চেষ্টা করুন। হতে পারে সেটা আপনার পছন্দের কোনও গান কিংবা একদম আনকোরা নতুন কোনও গান। সুরের তালে তালে নিজেও গুনগুন করে গাইবার চেষ্টা করুন। দেখবেন কিছুক্ষণের মধ্যেই আপনার মন ভাল হয়ে যাবে।
স্নান করুন
বেশি সময় ধরে স্নান করতে পারেন। সুযোগ থাকলে স্নানের পর পরিষ্কার কাপড় পরুন। এই সামান্য কাজটাও আপনার মন ভাল করে দিতে পারে। চোখে-মুখে ঠান্ডা জলের ঝাপ্টা দিলেও মন ভাল হয়ে যায়।
হেঁটে আসুন
ঘরের মধ্যে বসে না থেকে বাইরে যান। হেঁটে আসুন। বাইরের হাওয়া গায়ে লাগান। খোলা হাওয়ায় জোরে জোরে শ্বাস নিন। মন ভাল হয়ে যাবে। নিয়মিত ধ্যান করলেও মন ভাল থাকে।
থাকুন হাসিমুখে
মন খারাপ থাকলে হাসি আসা খুব কঠিন। তখন এমন কিছু দেখুন, শুনুন বা পড়ুন, যাতে কিছুক্ষণের জন্য হলেও মন খারাপের মধ্যে মুখে হাসি চলে আসে। নিয়ম অনুযায়ী টানা ২০ দিনেরও বেশি সময় ধরে ডিপ্রেশন, মন খারাপ জারি থাকলে পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। অবশ্যই কোনও মনোবিদের পরামর্শ নিন।

Latest article