প্রতিবেদন : একের পর এক ভোটে হেরে নির্লজ্জের মতো বাংলা ভাগের চক্রান্ত করছে বিজেপি। কিছুতেই বাংলা ভাগ হতে দেব না। সোমবার বিধানসভায় ফের গর্জে উঠলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন, অধিবেশনে যোগ দিয়ে তীব্র ক্ষোভ ফেটে পড়ে তিনি বলেন, বিজেপি উত্তরে এত আসন পেয়েও বাংলার জন্য বাজেটে কিছুই দিল না! শুধু ভোট এলেই বাংলা ভাগের কথা বলে। ভাগাভাগির ইস্যু নিয়ে আসা হয়। এক জন বলছেন, মুর্শিদাবাদ-মালদহ ভেঙে দাও। কেউ বলছেন, অসমের তিনটি জেলাকে নিয়ে নতুন কিছু করো। কেউ আবার উত্তরবঙ্গকে উত্তর-পূর্বের সঙ্গে যুক্ত করে দিতে বলছেন। মুখ্যমন্ত্রীর সাফ কথা বাংলাকে কোনও ভাবেই ভাগ করতে দেওয়া হবে না। বিজেপির এই ষড়যন্ত্রের বিরোধিতায় প্রয়োজনে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করতে হবে। মুখ্যমন্ত্রীর সংযোজন, যেসকল বিজেপি বিধায়ক, সাংসদ, মন্ত্রী বাংলা ভাগ করার কথা বলছে, তাদের উদ্দেশ্যে বলি— তাহলে বিধানসভায় এই বিষয়ে একটা ভোটাভুটি হয়ে যাক। কারণ গণতন্ত্রে শেষ কথা জনতার আদালত।
আরও পড়ুন-ভয়াবহ ভাঙন সামশেরগঞ্জে, তৎপর প্রশাসন
এদিন একই সঙ্গে ভারত-ভুটান যৌথ নদী কমিশন গঠনের দাবিও জানিয়েছেন। প্রতি বছর ভুটান পাহাড়ের জলের জন্য ভেসে যায় জলপাইগুড়ি-আলিপুরদুয়ার-সহ বিস্তীর্ণ এলাকা। এর সমাধান চাই। একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর সাফ কথা, বাংলাকে বঞ্চিত করে তিস্তার জল দিতে পারব না। বাংলাদেশকে আমরা ভালবাসি। কিন্তু বাংলার মানুষের প্রতি আমার দায়বদ্ধতা আছে। তাঁরাই আমাদের নির্বাচিত করেছেন। তিস্তার জল দিলে উত্তরবঙ্গের মানুষ খাওয়ার জল পাবেন না।
একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী জানান, নীতি আয়োগের বৈঠকে বাংলার বঞ্চনার কথা তুলে ধরেছেন তিনি। তাঁর কথায়, নীতি আয়োগের বৈঠকে ইন্দো-ভুটান নদী কমিশন নিয়ে বিশদে কথা বলে এসেছি। বাংলা হল নৌকার মতো। সব জল আমাদের রাজ্যে এসে পড়ে। আমাদের ভুগতে হয়। বিষয়টি আমি প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে রেকর্ড করে এসেছি।