প্রতিবেদন : বাংলার একাধিক জেলায় বন্যা-পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। তা সত্ত্বেও বাজেটে বাংলাকে ব্রাত্য রেখেছে কেন্দ্রের সরকার। সোমবার বিধানসভা অধিবেশনে যোগ দিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইন্দো-ভুটান যৌথ নদী কমিশন এবং বাংলার জলবণ্টন নীতি নিয়ে আলোচনা পর্বে বাংলার একাধিক জেলায় বন্যা-পরিস্থিতি নিয়ে সরব হলেন তিনি। একইসঙ্গে ফের কেন্দ্রের কাছে বিশেষ প্রতিনিধি দল পাঠানোর কথাও বললেন। একটি দল যাবে বিধানসভা থেকে, আরেকটি তৃণমূলের সংসদীয় দল যাবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, নদীমাতৃক দেশ বাংলা। নেপাল, ভুটান, বাংলাদেশ সীমান্ত রয়েছে। এই সমস্ত দেশের সবটাই আমাদের বাংলার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তাদের জল আমাদের রাজ্যে এসে পড়ে। অন্য দেশের জলে দুর্ভোগ পোহাতে হয় আমাদের। বাংলার এই পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য কেন্দ্রীয় সেচমন্ত্রকের কাছে যাক বিধানসভার প্রতিনিধি দল। তাঁর কথায়, আমি নিজে বলে এসেছি। দিল্লি থেকে ১৬০টি দল পাঠিয়েছে। অথচ ১০০ দিনের কাজে টাকা দেয়নি। মানস ভুঁইয়ার নেতৃত্বে আগে বিধানসভার দল গিয়েছিল। আবার একটা দল যাক।
আরও পড়ুন-কণ্ঠরোধ নিয়ে প্রস্তাব
একইসঙ্গে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেন, এই প্রস্তাবের কপি কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের কাছে পাঠানোর। বন্যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি ডিভিসির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। তাঁর কথায়, অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় বাংলা বেশি বন্যাপ্রবণ। এ রাজ্যের ৪৩ শতাংশ বন্যার কবলে চলে যায়। এটা একপ্রকার রুটিন হয়ে গিয়েছে। উত্তরের জেলাগুলি প্রত্যেকবার বন্যার কবলে পড়ে। ১৫ বছর ধরে কেন্দ্র বাংলার শেয়ার নেয়। কিন্তু বাংলার দিকে তাকিয়ে দেখে না। দক্ষিণের অনেক জেলাও বন্যার কবলে পড়ে। এটা কেন্দ্রের বিষয়। তাদের দেখা উচিত। বিজেপি কেন্দ্রের ক্ষমতায় আসার পর থেকে সব বন্ধ করে দিয়েছে। ডিভিসি কোনওদিন বলে না জল ছাড়ার আগে। আমি বহুবার লিখেছি। নীতি আয়োগেও এবার বলে এসেছি। আগেও ফরাক্কা, তিস্তার জলচুক্তির ব্যাপারে অনেক চিঠি দিয়েছি। এবারও আমরা টাকা পাইনি। কিন্তু আমাদের প্রতিবেশীরা পেয়েছেন। তাতে অবশ্য আমার আপত্তি নেই। কিন্তু বাংলা কেন বঞ্চিত আমি জানতে চাই। সে-জন্যই ফের বিধানসভার দল যাবে কেন্দ্রের কাছে।