পাল্লেকেলে, ২৯ জুলাই : রবিবাসরীয় ম্যাচ জিতে যাওয়ায় সূর্যকুমার যাদবদের কাছে টি-২০ সিরিজের শেষ ম্যাচ এখন ডেড রাবার। এতে জিতলে ৩-০। অর্থাৎ হোয়াইটওয়াশ। হারলে ২-১। সিরিজের ভাগ্য বদলাবে না।
দ্বিতীয় ম্যাচের পর সূর্যকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, মঙ্গলবারের ম্যাচে রিজার্ভদের খেলাবেন কিনা। সূর্য জবাবে বলেন, আগে দলের সবার সঙ্গে কথা বলি। তারপর সিদ্ধান্ত। তবে কঠিন সময়ে ছেলেরা স্কিল ও প্রতিভা দেখিয়েছে। এটা আমাকে তৃপ্তি দিচ্ছে।
আরও পড়ুন-কেন্দ্রের সঙ্গে দেখা করবে দল
রবিবার ম্যাচের পর গম্ভীর আর সূর্যকে মাঠেই লম্বা আলোচনায় দেখা গিয়েছে। অন্যেরা তখন পরস্পরের সঙ্গে করমর্দনে ব্যস্ত ছিলেন। সূর্য পরে জানান, আমরা এই সিরিজের আগেই কথা বলে নিয়েছিলাম যে ঠিক কোন ব্র্যান্ডের ক্রিকেট খেলব। ছোট টার্গেট, এমনি টার্গেট, এসব নিয়ে কথা হয়েছিল। আমরা একটা টেমপ্লেট সামনে রাখতে চাই। সেভাবেই এগোব।
রবিবারের ম্যাচে রবি বিষ্ণই পরের দিকে এসে শ্রীলঙ্কার ইনিংসকে ভেঙে দিয়েছেন। না হলে তারা দিব্যি এগোচ্ছিল। লঙ্কা অধিনায়ক চারিথ আসালাঙ্কা বলছিলেন, ভাল খেলতে খেলতে দুম করে ম্যাচ থেকে হারিয়ে যাওয়ার ব্যাপারটা তাঁকে পীড়া দিচ্ছে। দুটি ম্যাচই শ্রীলঙ্কা আশা জাগিয়ে হেরেছে। তবে সিরিজ শুরুর আগে চামিরা ও তুষারাকে না পাওয়াও দলে বড় প্রভাব ফেলেছে। দুজনেই শ্রীলঙ্কা দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। এখন পাথিরানার উপর বাড়তি চাপ পড়ে যাচ্ছে।
সঞ্জু স্যামসনকে দ্বিতীয় ম্যাচে খেলালেও তিনি শূন্য করেছেন। শুভমন ফিট হয়ে গেলে সঞ্জুকে জায়গা ছাড়তে হবে। দল থেকে অবশ্য শুভমনের কোনও আপডেট আসেনি। এটাও জানা যায়নি যারা প্রথম দুই ম্যাচে বাইরে ছিলেন, নিয়মরক্ষার শেষ ম্যাচে মঙ্গলবার তাদের খেলতে দেখা যাবে কিনা। এদিকে, বিসিসিআই বিশ্বকাপ ফাইনালে সূর্যর সেই ক্যাচ নিয়ে একটি ভিডিও পোস্ট করেছে। সেখানে সূর্য বলেছেন, এটা সারাজীবন তাঁর সঙ্গে যাবে। তিনি দাবি করেন, এরকম ক্যাচের প্র্যাকটিস তিনি অনেক করেছেন। তবে বিশ্বকাপের মতো আসরে এরকম কিছু ঘটবে ভাবেননি। এটা সারাজীবনের ঘটনা।
আরও পড়ুন-কণ্ঠরোধ নিয়ে প্রস্তাব
সিংহলিদের জন্য এই ম্যাচের গুরুত্ব এটাই যে, একদিনের সিরিজের আগে মনোবল বাড়িয়ে নাও। সেই সিরিজ শুরু হচ্ছে ৩ জুলাই থেকে। তাদের জন্য সমস্যা এটাই যে, একদিনের সিরিজে রোহিত, বিরাট ফিরছেন। এদের না থাকার সুযোগ টি-২০ সিরিজে নিতে পারেনি জয়সূর্যর কোচিংয়ে থাকা দল। বুঝতে অসুবিধা নেই, রোহিতরা আসায় চাপ আরও বেড়ে গেল শ্রীলঙ্কার। আরও চাপ চলতি সিরিজে হোয়াইটওয়াশের আশঙ্কা। মেয়েরা রবিবার এশিয়া কাপ জিতেছেন। তাও ভারতকে হারিয়ে। আসালাঙ্কারা ব্যর্থ কেন, সেই প্রশ্ন তো উঠবেই।