বেলাইন হাওড়া থেকে মুম্বইগামী এক্সপ্রেস, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২, ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী

আজ ভোরবেলা দক্ষিণ পূর্ব রেলের চক্রধরপুর ডিভিশনের ঝাড়খণ্ডের রাজখোরাসান এবং বড়াবাম্বু স্টেশনের মাঝে লাইনচ্যুত হয়েছে হাওড়া - মুম্বই সিএসএমটি (১২৮১০) মুম্বই মেল

Must read

এ যেন করমণ্ডলের আংশিক পুনরাবৃত্তি। আজ ভোরবেলা দক্ষিণ পূর্ব রেলের চক্রধরপুর ডিভিশনের ঝাড়খণ্ডের রাজখোরাসান এবং বড়াবাম্বু স্টেশনের মাঝে লাইনচ্যুত হয়েছে হাওড়া – মুম্বই সিএসএমটি (১২৮১০) মুম্বই মেল (Howrah Mumbai CSMT)। ভোর পৌনে চারটে নাগাদ ঝাড়খণ্ডের চক্রধরপুরের কাছে হাওড়া থেকে মুম্বইগামী হাওড়া-সিএসএমটি এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। বেলাইন হয়ে গিয়েছে ট্রেনের অন্তত ১৮টি কামরা। এই ঘটনায় আহত কমপক্ষে ১২ জন যাত্রী ও মৃত ২। আহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। দক্ষিণ পূর্ব রেলের একাধিক স্টেশনে হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে। হাওড়া স্টেশনের জন্য ৯৪৩৩৩৫৭৯২০ ও ০৩৩২৬৩৮২২১৭, টাটানগর স্টেশনের জন্য ০৬৫৭২২৯০৩২৪, চক্রধরপুর স্টেশনের জন্য ০৬৫৮৭ ২৩৮০৭২, রৌরকেলা স্টেশনের জন্য ০৬৬১২৫০১০৭২ ও ০৩৩২৬৩৮২২১৭ এবং রাঁচি স্টেশনের জন্য ০৬৫১২৭৮৭১১৫ হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে।

আরও পড়ুন-ওয়েনাড়ের বিভিন্ন জায়গায় ধস, মৃত ১ বছরের শিশু-সহ ৭

প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে যে লাইন দিয়ে মুম্বই মেল যাচ্ছিল, তার উলটো দিকের লাইন দিয়ে একটি মালগাড়ি আসছিল। সেটির চারটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে যায়। একটি কামরা মুম্বই মেলের লাইনের ধারে পড়েছিল। হাওড়া-মুম্বই মেল, সেইসময় ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে চলছিল। চালক ব্রেক কষে ট্রেন থামানোর চেষ্টা করলেও মালগাড়ির একটি কোচের সঙ্গে হাওড়া-মুম্বই মেলের ধাক্কা লাগে। বিষয়টি নিয়ে ভারতীয় রেলের তরফে আপাতত কোন বিবৃতি দেওয়া হয়নি। তবে ঝাড়খণ্ডের পশ্চিম সিংভূমের ডেপুটি কমিশনার কুলদীপ চৌধুরী নিশ্চিত করেন বরাবাম্বুর কাছে হাওড়া-মুম্বই মেলের ১৮টি কোচ লাইনচ্যুত হয়ে যাওয়ায় দু’জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ২০ জন আহত হয়েছেন।

আরও পড়ুন-২৪ ঘন্টার মধ্যেই ফের ট্রেন দুর্ঘটনা, ঝাড়খণ্ডে বেলাইন মুম্বইগামী ট্রেনের ১৮টি বগি

এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে এদিন তিনি লেখেন, ‘ফের ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনা! হাওড়া- ঝাড়খণ্ডের চক্রধরপুর ডিভিশনে আজ ভোরে মুম্বইয়ের মেইল ​​লাইনচ্যুত হয়েছে। এমন এক ঘটনার অত্যন্ত দুঃখজনক পরিণতি হল একাধিক মৃত্যু এবং বিপুল সংখ্যক আহত যাত্রী।”

আরও পড়ুন-কণ্ঠ কেন রুদ্ধ আজিকে?

এদিন যাত্রী সুরক্ষায় রেলের উদাসীনতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি লেখেন, ”আর কতদিন আমাদের এ সব সহ্য করতে হবে? কেন্দ্রীয় সরকারের এই অকর্মণ্যতার কি কোনও অন্ত নেই? আমি জানতে চাই এটা কি ধরণের শাসনপ্রক্রিয়া? প্রায় প্রতি সপ্তাহে চলছে দুঃস্বপ্নের রেলপথে মৃত্যু এবং আহতদের মিছিল। ভারত সরকারের এই উদাসীনতার কি শেষ থাকবে না?”

 

Latest article